শনিবারে ফের ভাঙ্গন হল তৃণমূলে। বারাকপুর লোকসভার অধীন দুই বিধানসভা, আমডাঙ্গা ও নোয়াপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা শুভরঞ্জন সিং সহ বহু ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে শনিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন। তাছাড়া জগদ্দল বিধানসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে তৃণমূলের প্রচুর নিচুতলার নেতা-কর্মী এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন। এদিন রাতে জগদ্দল বিধানসভার গুড়দহ ঋষি অরবিন্দ বিদ্যামন্দির মাঠে মন্ডল-২-এর উদ্যোগে বিশাল জনসভা, যোগদান পর্ব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “বাংলার মানুষ পিসি-ভাইপোর প্রাইভেট কোম্পানি মেনে নিতে পারছে না। তৃণমূলের তোলাবাজি, সিন্ডিকেট রাজের বিরুদ্ধে মানুষ ভোট দিয়েছেন। বাংলায় বিভেদের রাজনীতি করে তৃণমূল ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে।” পাশাপাশি, যদিও অর্জুন সিংয়ের ভবিষৎবাণী যে ২০১৯-২০ সালের মধ্যেই বাংলা থেকে বিদায় নেবে মমতার সরকার। আগামী পুরসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী খুঁজে পাবে না বলেও দাবি করেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। তৃণমূলকে তুলোধনা করে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ওদের গনসংঠন মানে কয়লা চোর,গরু পাচার, বালি মাফিয়া, সিন্ডিকেটরাজ। বিজেপির গনসংগঠন মানে মানুষের সেবা করা। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা অরুন ব্রহ্ম, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং, ভাটপাড়ার উপ-পুরপ্রধান সোমনাথ তালুকদার প্রমুখ।