গত বছরের শেষের দিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ওনার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই কার্যত মুখ বন্ধ করে রেখেছেন ওনার বাবা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাপতি শিশির অধিকারী। তবে এবার আর চুপ রইলেন না তিনি। সৌমেন্দুর বিজেপিতে নাম লেখানোর দিনেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন সাংসদ শিশির অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ওনার পরিবারকে মীরজাফর, বেইমান বলা হচ্ছে। এতদিন ধরে চুপ করে সেগুলো হজম করছিলেন তিনি। কিন্তু এবার আর না। কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ইঙ্গিতে ইঙ্গিতে নিজের দলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সব কিছুর জবাব দেওয়া হবে। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব পেয়ে যাবে। মেদিনীপুরের মানুষেরাই জবাব দেবেন।”
শিশির অধিকারী বলেন, ‘আমি যখন তৃণমূলে যোগ দিই, তখন মেদিনীপুরে তৃণমূলের কিছুই ছিল না। আমার হাত ধরে সবাই দলে দলে তৃণমূলে যোগ দেয়। আর এতদিন পর এতকিছু করার পর আমার পরিবার, আমার ছেলে মীরজাফর? আমি বেইমান? মেদিনীপুরের মানুষই এই অপমানের জবাব দেবে।”
বলে রাখি, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ওনাকে মীরজাফর বলা শুরু করেন। বাদ যান নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর নিজের পরিবারকে এভাবে বারবার অপমান করার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী।
দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ায় ওনাকে নিয়ে এখন রাজনৈতিক মহলে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন যে, বাসন্তী পুজো আর রামনবমীর মধ্যে ওনার বাড়িতে পদ্ম ফুটবে। ওনার মন্তব্যের দিন কয়েকের মধ্যে ওনার ভাই সৌমেন্দু গতকাল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাহলে এবার কি শিশির অধিকারীর পালা? রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে চলছে জোর জল্পনা।