ব্যাকফুটে মমতার সরকার, কাটমানিতে নাম জড়াল রেজ্জাক-পুত্রের

লোকসভায় আশানুরুপ ফলাফলের মুখ দেখেনি তৃমমূল কংগ্রেস, মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির৷ তার মধ্যেই দুই শিবিরের স্লোগান নিয়ে রাজনৈতিক তরজা থেকে সংঘর্ষ তো রয়েছেই৷ আর তার সঙ্গে সাম্প্রতিককালে যুক্ত হয়েছে কাটমানি ইস্যু৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাটমানি বক্তব্যে তৃণমূল কংগ্রেস যে ব্যাকফুটে তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ আর এবার এই ইস্যুতে নাম জড়াল তৃণমূলের রেজ্জাক মোল্লার ছেলে মোস্তাক আহমেদের নাম৷

লোকসভায় আশানুরুপ ফলাফলের মুখ দেখেনি তৃমমূল কংগ্রেস, মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির৷ তার মধ্যেই দুই শিবিরের স্লোগান নিয়ে রাজনৈতিক তরজা থেকে সংঘর্ষ তো রয়েছেই৷ আর তার সঙ্গে সাম্প্রতিককালে যুক্ত হয়েছে কাটমানি ইস্যু৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাটমানি বক্তব্যে তৃণমূল কংগ্রেস যে ব্যাকফুটে তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ আর এবার এই ইস্যুতে নাম জড়াল তৃণমূলের রেজ্জাক মোল্লার ছেলে মোস্তাক আহমেদের নাম৷

টাকা নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই দুই তৃণমূল নেতা৷ অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমেছে বলে জানা গিয়েছে৷ তবে অভিযুক্তের কোনও প্রতিক্রিয়ার খবর এখনও জানা যায়নি৷

প্রসঙ্গত, একদিকে যেখানে একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীর নাম প্রকাশ্যে আসছে এই ইস্যুতে, সেখানেই এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া আক্রমণ করেন লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী৷ তিনি সরাসরি বলেন, ‘কাটমানি ইস্যুতে দলের নিচুতলার নেতাদের কাঠগড়ায় তুলে দৈত্যকুলে প্রহ্লাদ সাজতে চাইছেন মমতা।’

অধীর চৌধুরী আরও বলেন, ‘তাঁর দলের নেতারা যে কাটমানি খাচ্ছেন তা কি জানতেন না মুখ্যমন্ত্রী? তিনিই তো আবার পুলিসমন্ত্রী। তা পুলিসকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেননি কেন? এখন কাটমানি ফেরত দিন বলে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে জনগণকে লেলিয়ে দিচ্ছেন। ক্ষমতা থাকলে প্রশাসনের কর্তাদের বিরুদ্ধে লোক লাগান। জেলাশাসক থেকে শুরু করে জেলার তাবড় নেতারা কাটমানি খান। মুর্শিদাবাদের সদ্য প্রাক্তন জেলাশাসক তো টেন্ডার থেকে কাটমানি খেতেন।’ এর পরই মমতাকে আক্রমণ করে অধীর বলেন, ‘উনি এখন লোককে দেখাতে চাইছেন আমি দৈত্য়কুলে প্রহ্লাদ। আমি সতী-সাধ্বী।’

একদিকে যেখানে কংগ্রেস সরব, সেখানে কয়েক ধাপ এগিয়ে গিয়ে এই ইস্যুকেই হাতিয়ার করেছে বিজেপি৷ সম্প্রতি এই কাটমনির ‘পাটিগণিত’ বোঝান বাবুল সুপ্রিয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুলের মতে কাটমানি নিচ্ছে পুলিশ। সাংসদ বলেন, “প্রত্যেকটি থানার ওসি , আইসি যাঁরা এই ধরণের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত , তাঁরা নেতাদের জন্য টাকা ‘কালেক্ট’ করে নেতাদের পৌঁছে দিয়ে আসে, তাঁরা তো সবাই ‘ইডেন্টিফায়েড।’ ক্যামেরার সামনে জিজ্ঞাসা করতে পারবেন না।”

এখানেই থামেননি বাবুল। তাঁর মতে, ” কতটা কাটমানি তুলে কতটা কাটমানি ফেরত দেওয়া হবে সেটাও তো একটা অঙ্কের ব্যাপার। আপনি ১০ টাকা তুললে, ১০ টাকা কি ফেরত দেবেন। তার মধ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ চলছে। (দেখা হবে) কত কাটমানি রাখা হবে, কতটা ফেরত দেওয়া হবে, দিদি যেভাবে বলছেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.