তৃণমূলের নেতারা বেআইনি কয়লা খাদান থেকে টাকা কামান, এই অভিযোগ বঙ্গ বিজেপি-র নেতাদের নতুন নয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার কমলাডাঙায় জনসভা করতে এসে সেই অভিযোগ নিয়ে জোরালো আওয়াজ তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভা করতে এসে মোদী বলেন, “এই এলাকার কয়লা খাদানগুলি থেকে টিএমসি নেতারা কেমন মাফিয়াগিরি চালায় আপনরা জানেন। কয়লাখাদান থেকে তৃণমূলের নেতারা টাকা কামাচ্ছে। আর শ্রমিকরা মজুরি পাচ্ছে না।”
বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী তথা গতবারের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খান সেই কবেই এই অভিযোগ তুলেছিলেন। বলেছিলেন, বেআইনি কয়লা খাদানের দু’নম্বরি পয়সা যায় তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে। বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া বাংলা বিজেপির প্রচার সঙ্গীতেও কয়লা পাচারের সঙ্গে তৃণমূলের নাম সরাসরি জুড়ে দেওয়ায় গান নিষিদ্ধ করেছে কমিশন। কিন্তু মোদী ফের একবার সেই অভিযোগকেই উস্কে দিলেন এ দিন।
প্রবল দাবদাহের মধ্যেও মাঠ উপচে পড়েছিল এ দিন। ঠিক দশটায় হেলিকপ্টার নামে মোদীর। তারপর মঞ্চে এসে ঘড়ির কাঁটা ধরে ৩০মিনিট বক্তৃতা দেন তিনি। সেখানেই কয়লা-সহ একাধিক ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “দিদি এখন দাদাগিরি চালাচ্ছেন। মা-মাটি-মানুষের নামে ভোটে জিতে, কুর্সি-ভাইপো-তোলাবাজদের জন্য সরকার চালাচ্ছেন।”
এমনিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিমাঞ্চলে একাধিক জয়গায় তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছিল। তার অন্যতম কারণ ছিল, স্থানীয় নেতাদের লাগামহীন দুর্নীতি। মমতাও কয়েকদিন আগে ঝাড়গ্রামের জনসভা থেকে সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। ভোটের দুদিন আগে এসে মোদীও চাইলেন সেই ইস্যুকেই খুঁচিয়ে দিতে।