অন্যের দাগ নম্বর খতিয়ান নাম্বার ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার বাড়ি, দখল করা জমিতে তৈরি করার অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। আর তাতে মদত দিচ্ছে উপপ্রধান। জমি ফেরত চাইতে গেলে প্রহৃত জমি মালিকের বাড়ির মহিলা সদস্যরা। এমনই অভিযোগে সপরিবারে জমি মালিক শুরু করলেন অবস্থান-বিক্ষোভ। তাও আবার পঞ্চায়েত অফিসের সামনে। বুধবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল বাখরাঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতে।
পরিবার এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাখরাহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শুকদেব গ্রামের সুজাতা মণ্ডলের নিজস্ব বাড়ি লাগোয়া ফাঁকা জায়গা অবৈধ উপায়ে বলপূর্বক দখল করে পঞ্চায়েত ঘনিষ্ঠ নেতারা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরও তৈরি করে ফেলে তারা। দীর্ঘ চার বছর ধরে বহু জায়গায় লিখিত আবেদন করা সত্ত্বেও কোন প্রকার সুরাহা না মেলায় অবশেষে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সুজাতা দেবীর পুত্র চন্দন মণ্ডল।
আর তাতেই বেজায় চটে যায় পঞ্চায়েত সদস্য নাজিমুদ্দিন শেখ এবং বাখরাহাট পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী চিত্তরঞ্জন ঘোষ নামে দুই তৃণমূল নেতা। পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে এই দুই নেতা ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি সুজাতা দেবীর বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের ভয় দেখানো, মারধর এমনকি তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।
পাশাপাশি মণ্ডল পরিবার এও দাবি করেন “যদি অভিযোগ তুলে না নেওয়া হয় তাহলে যে কোনও ধরনের আপত্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে পরিবার।” একথা বলে শাসিয়ে আসে তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তিরা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন মণ্ডল পরিবারের সদস্যরা সপরিবারে বাখরাহাট পঞ্চায়েতের সামনে দুপুর দুটো থেকে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। অবশেষে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে মণ্ডল পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়েও তাঁদের অবস্থান থেকে তুলতে পারেননি। এর পর বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ প্রায় জোর করেই মণ্ডল পরিবারের সদস্যদের বিষ্ণুপুর থানায় নিয়ে আসে। পরে ওই পরিবারের করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
মণ্ডল পরিবারকে থানা থেকে ছেড়েও দেওয়া হয় পরে। তবে এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কোনও নেতারই কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।