নদীয়ায় ভোট শেষ হতেই রানাঘাট নিয়ে নিশ্চিন্ত হলেও কৃষ্ণনগর আসনটি নিয়ে চিন্তায় তৃণমূল। সোমবার ভোট শেষ হতেই তৃণমূল ভবনের রাজ্য নেতাদের ঘনঘন ফোন গিয়েছে জেলার নেতাদের কাছে। রাজ্য নেতারা প্রত্যেকেই জানতে চেষ্টা করেছেন নিচু তলায় কোনও ছুরিমারামারি হয়নি তো?
জেলার নেতারা ইতিবাচক কথাই বলেছেন। জেলার নেতারা প্রায় প্রত্যেকেই আশ্বস্ত করেছেন মহুয়া মিত্র ৫০ হাজার ভোটের ব্যাবধানে জিতবে। কিন্তুু গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও বহিরাগত প্রার্থী নিয়ে এই লোকসভার নিচু তলার কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এমনকি জেলার হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীও মহুয়াকে মেনে নিতে পারেননি। যদিও দলনেত্রীর কড়া নির্দেশে জেলার ক্ষুব্ধ বিধায়ক ও নেতারা প্রকাশ্যে মহুয়া মিত্রের পাশেই ছিলেন। তবে ভোটের দিন কয়েকজন বিধায়কের অনুগামীদের অতি নিরাবতা চিন্তায় ফেলেছে তৃণমূল ভবনকে।
কালিঘাটের ভোট ম্যানেজারার মনে করছেন অতি নিরাবতাই কালহতে পারে জোড়া ফুলের। তার উপরে কৃষ্ণনগরে সংখ্যালঘু কংগ্রেস প্রার্থীও চাপে রেখেছে শাসক দলকে। তেহট্ট, পলাশীপাড়া, নাকাশিপাড়া, চাপড়া এলাকার সংখ্যালঘুদের এক অংশ সোমবার নির্বাচনের দিন জাতীয় কংগ্রেসের হয়ে ময়দানে নেমেছিল, যা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি তৃণমূল ভবন। এই কেন্দ্রে শাসক দলের সঙ্গে মূলত লড়াই ছিল বিজেপির সঙ্গে। মাঝখান থেকে কংগ্রেস সংখ্যালঘুদের একটা বড়ো অংশের ভোট কেটে দিলে তৃণমূলের জন্য তা চিন্তার কারণ হতে পারে। তাই ভোটপর্ব মিটতেই কৃষ্ণনগর নিয়ে অঙ্ককষা শুরু করেছে তৃণমূল ভবন।