আজই দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া একাধিক বড় মুখ। দিল্লিতে শনিবারই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষালরা, রথীন চক্রবর্তীরা।
আজই দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করে কাল সকালের বিমানে তাঁরা কলকাতায় ফিরবেন বলে খবর। রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলাতে স্মৃতি ইরানির সভায় এই চার জনকে দেখা যাবে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যেয় মধ্য কলকাতার একটি বাড়িতে বৈঠকের আয়োজন করে রেখেছিলেন শুভেন্দু। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বৈশালী ডালমিয়া এবং প্রবীর ঘোষাল, রথীন চক্রবর্তী। ছিল চা, চানাচুর, আলুর বড়া, বেগুনি।সূত্রের খবর, বৈঠকে কথা উঠে আসে আগামী দিনে কী ভাবে কাজ হবে তাই নিয়েও। পাশাপাশি কথা হয় হুগলি-হাওড়ার আগামীদিনের প্রচার কর্মসূচি নিয়েও।
জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকের সময়েই দিল্লি থেকে ফোন আসে উচ্চতর নেতৃত্বর। ভাবী সদস্যদের যোগদানের আগে শুভেচ্ছা জানানো হয় আগামী দিনের জন্য।
কিছুদিন ধরে দলের বিরুদ্ধে বেসুরো গাইছিলেন রাজীব৷ ৫ ডিসেম্বর তিনি বলেছিলেন, ‘দলে স্তাবকতা করতে পারলে নম্বর বেশি। ভালকে খারাপ, খারাপকে ভাল বলতে পারি না তাই আমার নম্বর কম। অন্যদের বেশি’। ৭ ডিসেম্বর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে নবান্নর চারপাশে পড়ে ‘কাজের মানুষ কাছের মানুষ পোস্টার’। ১০ ডিসেম্বর কামারপুকুরের সভায় বনমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘যত মত, তত পথ’। ১৩ ডিসেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান রাজীব। আলোচনার পর বলেছিলেন, ‘ক্ষোভ থাকতেই পারে। আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নেব৷ শীর্ষ নেতৃত্ব আমাকে ডাকলে আবার আসব৷’ শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের জল্পনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমার সঙ্গে কাউকে জড়াবেন না৷’
এরপর ২২ জানুয়ারি রাজ্যের মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তখনও দল থেকে সরে আসা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি। কিন্তু দলের প্রতি যে তাঁর অনেক অভিমান ও অভিযোগ রয়েছে তা বারবার প্রতিফলিত হচ্ছিল তাঁর কথায়।