এরাজ্যে বিজয় মিছিল নিষিদ্ধ করেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তবে সেটা শুধু বিজেপির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ফরমানের পর তৃণমূল থেকে বেশ কটি বিজয় মিছিল করা হয়, সেই মিছিল নিয়ে কোন আপত্তিই দেখানো হয়নি শাসক দলের পক্ষ থেকে। কিন্তু বিজেপির বিজয় মিছিলে চরম ধুন্ধুমার দেখা গেছে গঙ্গারামপুরে। সেখানে বিজেপির বিজয় মিছিল পুলিশ দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন মমতা ব্যানার্জী। আর সেই সময় পুলিশের সাথে বচসা বাধে বিজেপি কর্মীদের। পুলিশের মারে আহত হন বেশ কিছু বিজেপি কর্মী। এমনকি কয়েকজন পুলিশও আহত হন। সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙেই সেদিন মিছিল নিয়ে এগিয়ে জান তিনি।
এই ঘটনার পর আবার বিজেপির বিজয় মিছিল ঘিরে অশান্তি। পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ১০ টা নাগাদ দুর্গাপুরের ফরিদপুরের লবনাপাড়া থেকে বিজয় মিছিল ধ্বনিগ্রামের দিকে আসতেই মিছিল লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করে তৃণমূল। অভিযোগ, মিছিলকে পণ্ড করতে বোমা হামলার সাথে সাথে মিছিল লক্ষ্য করে গুলিও চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
তৃণমূলের ছোড়া গুলিতে মিছিলের সামনে থাকা বিজেপি নেতা কাজল হাজরা আহত হন। এবং আরেক বিজেপি নেতা বিমল বেসরার উপরেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, মিছিল ধ্বনিগ্রামের দিকে আসতেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে বিজেপি কর্মীদের। তারপর চালানো হয় আক্রমণ। তৃণমূল দুষ্কৃতীদের এই হামলায় বিজেপির আট কর্মী গুরুতর আহত হন।
ঘটনার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ এবং র্যাফ। যদিও বিজেপির করা এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা সুজিত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তৃণমূলের কেউ এই ঘটনার সাথে জড়িত নন। এটা বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল।