সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের ( All India Trinamool Congress ) গুন্ডাবাহিনীর বহু কীর্তি ভাইরাল হয়ে আছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের তাদের গ্রেপ্তার করা তো দূর, তদন্তের জন্যেও কোনো একশন নেয় না। অন্যদিকে জয় শ্রী বলে দিলে, মুখ্যমন্ত্রীর ফানি ছবি শেয়ার করলে পুলিশ সাথে সাথে সক্রিয় হয়ে গ্রেফতার অভিযানে নেমে পড়ে। লোকসভা নির্বাচনে TMC গুন্ডারা খোলাখুলি কিভাবে জনগণকে হুমকি দিচ্ছে, গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভোটারদের ভোট প্রদানে বাধা দিচ্ছে, ভোটারদের উপর কিভাবে হামলা চালানো হচ্ছে, তা সকলেই টিভির পর্দায় বা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছে। পুলিশ চাইলে পদক্ষেপ নিয়ে এই গুন্ডাদের গ্রেফতার করতে পারতো। কারণ সোশ্যাল ছবির মাধ্যেম চিহ্নিতকরণ করে পদক্ষেপ নেওয়া কোনো বড় ব্যাপার নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে পুলিশ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে। পুলিশ একটাও গুন্ডাকে গ্রেফতার করেনি। যার জন্য গুন্ডাবাহিনীর সাহস উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন কিছুটা হলেও পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাস আটকানোর চেষ্টা করছে তবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি না হলে শান্তিপূর্ণ ভোটিং হওয়া অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। ১৯ তারিখ শেষ দফার নির্বাচন হবে যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কিছু আসনেও ভোট প্রদান হবে। ওর মধ্যে TMC এর বহুজ গুন্ডা ব্রিগেড সক্রিয় হয়ে আছে। কারণ গুন্ডা ব্রিগেডগুলি একদিকে দিয়ে নিশ্চিত যে আর যাইহোক পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ তাদের গ্রেফতার করবে না।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের TMC এর এমন একটা গুন্ডা ব্রিগেডকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। TMC এর এই গুন্ডা ব্রিগেড গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছিল, এমনকি ভুয়ো ভোট দেওয়ার কার্য কর্ম এরাই দেখাশোনা করে। বিরোধী দলের নেতা নেত্রীদের উপর হামলা করার কাজও এরাই করে। এরা বাংলাদেশী নাকি রোহিঙ্গা তা স্পষ্ট নয় তবে এরা সাধারণ মানুষের প্রকৃতির নয়। বোমা, পিস্তলের উপর ভরসা করে এরা সাধারণ ভোটারদের আটকানোর কাজ করে।
এই গুন্ডাব্রিগেড পশ্চিমবঙ্গে গ্রামে গ্রামে গিয়ে হুমকি দিচ্ছিল সেই সময় কেন্দ্রীয় সুরক্ষাবল এদেরকে ধরে ফেলে। এদের কাছে বন্দুক, বোমা ইত্যাদি ছিল যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের কাজ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পশ্চিমবঙ্গে যে গণতন্ত্র একবারে শেষ তা এসমস্ত কিছু দেখেই বোঝা যাচ্ছে। যার জন্য রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করার দাবি তীব্র হচ্ছে। কারণ পুলিশ প্রশাসন তৃণমূলের ইশারায় কাজ করার জন্য TMC গুন্ডাব্রিগেডের উপর কোনো একশন নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।