এক বিজেপি কর্মীর হাতে ধারল অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের গাড়িতে চড়াও হয়। এক যুবককে পুলিশের গাড়িতে টানতে টানতে নিয়ে যায়। প্রতিবাদে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিজেপির পতাকা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখায় দলীয় কর্মী সমর্থকরা।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মল্লারপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের বাউরি পাড়ায়। ওই এলাকাটি বোলপুর লোকসভার ময়ূরেশ্বর বিধানসভার মধ্যে পড়ে। ওই বিধানসভার ১৯ নম্বর বুথ মল্লারপুর লেনিন স্মৃতি পাঠাগারে সোমবার বিজেপির এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা বিকাশ বাউরির বিরুদ্ধে। পরে বিডিওর তৎপরতায় ফের পোলিং এজেন্ট বুথে বসে।
এনিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার সকালে বিজেপি সমর্থক সেন্টু বাউরিকে একা পেয়ে ধারাল অস্ত্রের কোপ মারে। নিজেকে রক্ষা করতে ডান হাতে অস্ত্র ধরতে গেলে সেন্টুর ডান হাতের বুড়ো আঙুল সম্পূর্ণ নেমে যায়। তাকে বাঁচাতে ছুটে আসে কার্তিক বাউরি। তার হাতের কুনুইয়ে চোট লাগে। কার্তিককে মল্লারপুর ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। তবে, সেন্টুর আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর এলাকার মানুষ উত্তেজিত হয়ে বিকাশের ঘর ঘেরাও করে। পরে মল্লারপুর থানার পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যেতে চাইলে এলাকার মানুষ পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। এমনকি পুলিশের গাড়ির দরজায় তোতোন লেট নামে এক বিজেপি কর্মীর হাত আটকে যায়। পুলিশের গাড়ি তাকে রাস্তায় ছেঁচড়ে বেশ কিছুটা দূর টেনে নিয়ে যায়। তাকেও মল্লারপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভরতি করা হয়েছে।
রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেন্টু বলেন, “ভোটের দিন বুথে এজেন্ট দেওয়া নিয়ে বিকাশের সঙ্গে ঝামেলা হয়। সে যাত্রা মিটে যায়। আজ সকালে আমি যার বাড়িতে কাজ করি সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। সে সময় বিকাশ আমাকে দেখে গালিগালাজ শুরু করে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় চোট মারতে যায়। আমি ধরতে গেলে ডান হাতের বুড়ো আঙুল কেটে যায়”। ঘটনার পর এলাকার মানুষ বিকাশের ঘরে বিজেপির পতাকা ঝুলিয়ে দিয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই বাড়িতে তারা দলীয় কার্যালয় খুলবে। বিকাশকে গ্রামে ঢুকতে দেবে না”।