বাংলাদেশি অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদ (ফেরদৌস) কি করে ভারতে এসে নির্বাচনী প্রচার করতে পারেন এই বিতর্ক চরমে উঠল৷ কারণ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এবার নড় চড়ে বসেছে কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন৷ জানা গিয়েছে, অবিলম্বে এই জনপ্রিয় বাংলাদেশি অভিনেতাকে স্বদেশে ফিরে যেতে বলা হয়েছে৷
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের হয়ে প্রচার করেছিলেন ফিরদৌস৷ এখানেই বিতর্ক দানা বাধে৷ এক বিদেশী কি করে এইরকম রাজনৈতি কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল৷ বিজেপি তীব্র প্রতিবাদ জানায়৷ এরপরেই ফিরদৌসের ভারতে থাকা নিয়ে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়৷ তিনি পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে আসতেই ভিনদেশিদের নিয়ে ভোটের প্রচারের অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ ফিরদৌস জানিয়েছিলেন, টলিউডের বন্ধুদের আমন্ত্রণেই তিনি এসেছেন৷
১৯৯৮ সালে ফিরদৌস খ্যাতিমান চিত্র পরিচালক বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত হঠাৎ বৃষ্টি ছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত করেছে৷ টলিউডের একাধিক শিল্পীর সঙ্গে ফিরদৌসের সম্পর্ক খুব ভালো৷ দুই বাংলাতেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে৷
গত লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ থেকে জয়ী হয়েছিলেন তখনকার বাম-কংগ্রেস জোটের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম৷ কংগ্রেসের ঘরোয়া কেন্দ্রে হিসেবে সুপরিচিত রায়গঞ্জে এবার হচ্ছে চতুর্মুখী লড়াই৷ এই কেন্দ্রে বামেদের প্রার্থী গতবারের সাংসদ মহম্মদ সেলিম৷ কংগ্রেস প্রার্থী করেছে প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির স্ত্রী দীপা দাসমুন্সিকে৷ তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন কানহাইয়ালাল আগরওয়াল এবং বিজেপির প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী৷