শিয়ালদহ (Sealdah) স্টেশনে আধুনিকীকরণের কাজ শেষ। এবার আন্তর্জাতিক মানের স্টেশন হিসেবে গড়ে উঠছে কলকাতা টার্মিনাল স্টেশনও। এখানে তৈরি হতে চলেছে হাই প্রোফাইল বাজার, মল থেকে রেস্তোরাঁ, স্পা থেকে অন্যান্য বিনোদন – সবকিছু। আপাতত করোনা আবহে ট্রেন চলাচল বন্ধ। স্টেশনে যাত্রীদের আনাগোনা নেই। আর এই সুযোগেই কাজ এগিয়ে চলেছে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
শিয়ালদহ ডিভিশনের এক ইঞ্জিনিয়ারিং কর্তা জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান রেলওয়ে স্টেশন ডেভলপমেন্ট অথরিটি ও ইরকন যৌথভাবে কলকাতা স্টেশন সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে স্টেশনের উন্নতি নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে। তার আগে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কাজগুলি শেষ করা হচ্ছে। গ্রাউন্ড ফ্লোরে এক্সিকিউটিভ ওয়েটিং লাউঞ্জ তৈরির কাজ শেষের দিকে। বাংলাদেশগামী দু’টি ট্রেন ছাড়ে এই কলকাতা স্টেশন থেকে। সেসব ট্রেনযাত্রীদের সুবিধায় ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের জন্য আলাদা ভবন তৈরির কাজ চলছে। স্টেশন প্লাজা, রেস্তরাঁ, স্পা, পার্লার তৈরি হবে পরবর্তী ধাপে।
দেশের অন্যতম ব্যস্ত শিয়ালদহ স্টেশনে বেসরকারি সংস্থা বাণিজ্যিকভাবে মল, রেস্তোরাঁ তৈরি করতে আগ্রহী হলেও কলকাতা স্টেশনে কতটা আগ্রহ প্রকাশ করবে, তা নিয়ে সন্দিহান রেল। এক কর্তার কথায়, শিয়ালদহ স্টেশনের মতো যাত্রীদের ভিড় নেই কলকাতা স্টেশনে। দৈনিক, সাপ্তাহিক, দ্বি-সাপ্তাহিক মিলিয়ে হাতে গোনা মোট ৩৯টি ট্রেন কলকাতা স্টেশন থেকে ছাড়ে। বাংলাদেশগামী মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস সপ্তাহে দু’দিন চলে। ফলে যাত্রী সংখ্যা শিয়ালদহের চেয়ে অনেকটা কম। ফলে বাণিজ্যিকভাবে লাভ কতটা তুলতে পারবে রেল, তা অনিশ্চিত।
কলকাতার মতো বড় স্টেশনগুলোতে এবার তৈরি হচ্ছে ‘অক্সিজেন পার্লার’। স্টেশন চৌহদ্দিতে বিশুদ্ধ বাতাস ছড়িয়ে দিতে পরিকল্পনা নিয়েছে রেল বোর্ড। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের (Lockdown) জন্য বায়ুদূষণ কমেছে। আবার জনজীবন স্বাভাবিক হলে দূষণের মাত্রা বাড়বে। ফলে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রেল। NASA অনুমোদিত প্লান্ট দিয়ে আড়াইশো বর্গফুটের পার্লার তৈরি হবে বিভিন্ন স্টেশনে। পাইলট প্রকল্প শুরু হয়েছে সেন্ট্রাল রেলে। ভূসওয়াল ডিভিশনে পার্লার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। নাসা অনুমোদিত প্লান্টের মধ্যে রয়েছে বাম্বু পাম, স্পাইডার প্লান্ট, ডেভিল ইভি, ডরফডেট পাম, ডাস্টন ফার্ন, কিমবার্লি কুইন ফার্ন, চাইনিজ এভার গ্রিন – এসব।