চার জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ (thundershower) বৃষ্টিপাতের (rain) পূর্বাভাস (forecast) আগেই দিয়েছিল হাওয়া অফিস। সেইমত কলকাতা (kolkata) ও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুরে শুরু হয়েছে তুমুল বৃষ্টি। পূর্বাভাস ছিল বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া। প্রচণ্ড গরম ও আসন্ন বর্ষার প্রভাবে এই সম্ভবনা টানা তিন দিন ধরে তৈরি হচ্ছে। যেখানে মেঘ বেশি জমাট বাঁধছে সেখানে ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে, না হলে অল্প ঝড়ো হাওয়া বৃষ্টিতে আবহাওয়া সাময়িক স্বস্তিদায়ক করছে। পরের দিন সকাল থেকে চলছে আবার বিশ্রি গরম।
সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। আর্দ্রতা সর্বোচ্চ পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ , সর্বনিম্ন ৪৯ শতাংশ।
এটা স্পষ্ট যে, আর্দ্র আবহাওয়ায় বাড়ছে গরম। এমন আবহাওয়ায় পিছনে লুকিয়ে বর্ষা তা স্পষ্ট, কারন আপেক্ষিক আর্দ্রতা প্রত্যেক দিন প্রচুর বেশি থাকছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন আর্দ্রতার পরিমান তা স্পষ্ট করছে। প্রায় কাছাকাছিই থাকছে তা। এর ফলে দিনভর জারি থাকছে অস্বস্তিকর গরম। বেলা বাড়লে অস্বস্তি যেন দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।
শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় পৌঁছে গিয়েছিল ৩৭ ডিগ্রিতে, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। আর্দ্রতা সর্বোচ্চ পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৮ শতাংশ , সর্বনিম্ন ৫২ শতাংশ।
হাওয়া অফিস বলছে উত্তর বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর আর্দ্র হাওয়া ঢুকছে শহরে তার জেরেই এই অস্বস্তি। আর আবহাওয়াবিদরা বলেই থাকেন বর্ষা যত এগিয়ে আসে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ তত বৃদ্ধি পায়। সেটাই হচ্ছে। এটাও ঘটনা যে, মৌসুমী বায়ু রাজ্যে প্রবেশ করতে গেলে একটা সিস্টেমের ধাক্কার প্রয়োজন তা এখন ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে সাগরে ফল এই অস্বস্তিকর গরম।
যদিও উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি সমস্ত জেলায় বর্ষা এসে গিয়েছে তবে দক্ষিণবঙ্গে তা এখনও আসেনি। এই অঞ্চলে বর্ষার আসার খবর গত শুক্রবারই দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে , ১১ তারিখ একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে। তার ঠেলাতেই দক্ষিণ পশ্চিমী মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করবে বাংলায়। সেটা ১২ তারিখ হতে পারে। সাধারণত আট তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ জুনের মধ্যে বাংলায় আসে বর্ষা। সেই অনুযায়ী স্বাভাবিক সময়েই বাংলায় আসছে বর্ষা। অনেকেই ভেবেছিল কেরলে বর্ষা আসতে বিলম্ব হল, তাহলে কী বাংলাতেও এর প্রভাব! আলিপুর আবহাওয়া দফতর প্রথম থেকেই জানিয়েছিল কেরলে বর্ষা আগমনের সঙ্গে বাংলায় মৌসুমী বায়ু প্রবেশের কোনও প্রভাব পড়বে না। সেটাই হতে চলেছে।
ওই নিম্নচাপের হাত ধরে বাংলা , বিহার, ওডিশায় প্রচুর পরিমানে বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বাংলার পাশপাশি বর্ষা আসবে ওডিশা, ঝাড়খণ্ড, সিকিমেও। বিহার ও ছত্তিশগড়ের কিছু অংশেও বর্ষা আসবে আগামী সপ্তাহেই। সৌজন্যে ওই নিম্নচাপ।