যুব মোর্চার নবান্ন ঘেরাও অভিযানকে কেন্দ্র করে শহর কলকাতায় ধুমধুমার কান্ড। পুলিশের মারে আহত বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন সহ বেশ কিছু বিজেপি কর্মী। বিজেপি নেত্রী শর্বরী মুখার্জির কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, লাঠির পাশাপাশি পুলিশ ইটপাটকেল ছুড়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
দুপুর বারোটা নাগাদ রাজ্য বিজেপি সদর দপ্তরের সামনে থেকে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে একটি মিছিল হাওড়া ব্রিজের দিকে যায়। হাওড়া ব্রিজে ওঠার মুখেই মিছিলটিকে আটকায় কলকাতা পুলিশ। শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের তর্কাতর্কি। সেই সময় বিনা প্ররোচনায় পুলিশ বিজেপি কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। হাওড়া ব্রিজের সামনেই পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। কিন্তুু অনড় বিজেপি কর্মীরা তার পরেও পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে হাওড়া ব্রিজের উপর দিয়ে নবান্নের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে।
সেই সময় বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে কলকাতা পুলিশ। তারপরেও দুপুর দুটো পর্যন্ত হাওড়া ব্রিজের পরিস্থিতি শান্ত করা যায়নি। বিক্ষিপ্তভাবে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ লেগেই ছিল। দুপুর দুটো নাগাদ ফের বড়বাজার থেকে একটি মিছিল শুরু হয়। প্রথমেই লাঠিচার্জ করে সেই মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করা হয়।
নবান্ন ঘেরাও অভিযান কর্মসূচির শুরুতেই খন্ড যুদ্ধ বেধে যায় হেস্টিংসে। কলকাতা পুলিশ বিজেপির মিছিল আটকালে রাস্তায় বসে পড়েন লকেট চট্টোপাধ্যায়, ভারতী ঘোষ। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং দাবি করেন, প্রথমে পুলিশ বিজেপি কর্মীদের দিকে ইট পাটকেল ছুড়েছে। তারপর বিজেপি কর্মীরা পাল্টা প্রতিরোধের রাস্তায় হেঁটেছেন। তিনি জানান দলের কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেননকে ফেলে মারা হয়েছে। আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দলের নেত্রী শর্বরী মুখার্জির গায়ে হাত তোলা হয়েছে। পুলিশ তার গায়ের কাপড় ছিঁড়েছে বলেও অভিযোগ করেন অর্জুন সিং।
গোটা কলকাতায় রণক্ষেত্রের জন্য সরাসরি কলকাতা পুলিশকে দায়ী করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি জানান বিজেপি শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করার কথা জানিয়েছিল। শান্তিপূর্ণভাবেই সকাল থেকে তা হচ্ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলিশি প্রথম কলকাতা শহরে খণ্ডযুদ্ধ বাধায় বলে অভিযোগ করেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।