দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। রোজ লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গণহারে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেও অতিমারী আটকানো যায়নি। ভাইরাস মোকাবিলায় সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের তরফে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের টিকাকরণের কথা বলা হয়েছে।
অষ্টাদশ-ঊর্ধ্ব নাগরিকরা আগামী ১ মে থেকে টিকা নিতে পারবেন, বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। আর তার জন্য সরকারি কো-উইন অ্যাপে শুরু হবে নাম নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়া। ২৪ এপ্রিল অর্থাৎ আগামী শনিবার থেকে এই রেজিস্ট্রেশন শুরু হতে চলেছে বলে জানা গেছে। সুতরাং ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু হতে আর ৪৮ ঘণ্টাও বাকি নেই।
সম্প্রতি রাজ্যেগুলিকে সরাসরি নির্মাতার কাছ থেকে ভ্যাকসিন কেনার ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। বলা হয়েছে প্রাইভেট সংস্থাগুলিও সরাসরি ভ্যাকসিন কিনতে পারবে। খোলা বাজারেই মিলবে করোনার টিকা। রাজ্যের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের একটি ডোজের দাম ৪০০ টাকা এবং প্রাইভেট সংস্থার ক্ষেত্রে ৬০০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। যদিও কেন্দ্র সরকার এখনও পূর্বনির্ধারিত ১৫০ টাকাতেই কিনবে টিকা।
কেন্দ্রের তরফে হাসপাতালের ডাক্তার-নার্স কিংবা স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাই কর্মচারী প্রমুখ করোনা যোদ্ধা এবং ৪৫-ঊর্ধ্ব নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এ পর্যন্ত ভারতের বাজারে করোনার দুটি ভ্যাকসিন চালু রয়েছে। তবে সিরাম ইনস্টিটিউট নির্মিত কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেক নির্মিত কোভ্যাকসিন ছাড়াও আগামী দিনে ব্যবহার করা হবে রাশিয়ায় তৈরি স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন।
ভারতে লাগাতার সংক্রমণের জেরে পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। এদিনও সংক্রমণে পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষের বেশি মানুষ। সংক্রমণে আমেরিকাকেও ছাপিয়ে গেছে ভারত।