গ্রাম থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল করে ফেলা হয়েছে হিন্দুদের। দেবী বলাইচণ্ডীর নামে যে গ্রাম, সেখানে এক ঘরও হিন্দু অবশিষ্ট নেই আর।
লুঠ হয়ে গিয়েছে মন্দিরের দেবোত্তর জমি, গ্রামের আরবরাই দখল করে নিয়েছে সেই জমি।
যেখানে দুই প্রজন্ম আগেও ধুমধাম করে পুজো হত, হাজার হাজার হিন্দু আসতেন পুজোর মেলায় আজ সেখানে সপ্তাহান্তে একবার পুরোহিতের দেখা মেলে কিনা সন্দেহ। শুধু গ্রাম নয়, গোটা এলাকা থেকেই হিন্দুরা নিশ্চিহ্ন।
হিন্দুদের মন্দিরের বরাদ্দ জমি অপারেশন বর্গার নামে লুঠ করে তুলে দেওয়া হয়েছে আরবদের হাতে। কাজটা করেছে কমিউনিস্ট সরকার।
দূর থেকে কোনোদিন হিন্দু পুণ্যার্থী এলে আরবরাই আজকাল ‘ভালো সেজে’ তাদের থেকে মানতের সমস্ত জিনিসপত্র আদায় করে নেয়। প্রণামীর টাকাতেই হয়ত রোববারের গোরুর মাংসর খরচটা উঠে যায়।
পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু নির্মূলীকরণের বহুপ্রচলিত ছকের আরেকটি চেনা কাহিনী। সেটাকেই ধর্মনিরপেক্ষতা ও সম্প্রীতির গল্প বলে প্যাকেজে বিক্রি করছে কলকাতার সেকুলার মিডিয়া।
একদিকে বাংলাদেশ থেকে আরব অনুপ্রবেশ, অন্যদিকে আরবদের তেলা&পিয়ামাছের মত বাচ্চার জন্ম দেওয়ার অভ্যেস… দুইয়ে মিলে পশ্চিমবঙ্গেও গ্রামে গ্রামে হিন্দুরা ক্রমশ বিলীয়মান।
এর উপরে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত আছে গ্রামের হিন্দুদের জমি কিনে নেওয়া এবং ভালোবাসার নামে হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করার জন্য সৌদি, কুয়েত, বাহরিনের মত দেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী আরবদের গ্রামে গ্রামে আসা বিপুল পেট্রোডলার।
বহুমুখী আক্রমণে পশ্চিমবাংলার গ্রাম দখল হয়ে যাচ্ছে। শহরের এখনও-নিরাপদ-হিন্দুরা ঘুমোচ্ছেন। আর সেকুলার দালালরা সেই এথনিক ক্লেনজিংয়ের কাহিনী সম্প্রীতির গল্প হিসেবে বিক্রি করছে অন্ধ মূর্খ আত্মঘাতী জাতের কাছে।
✒️ পঞ্চানন নস্কর