নবান্ন অভিযানে পুলিশি ভূমিকার প্রতিবাদের শুক্রবার ১২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বামেরা। সেই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস। তবে এদিন সকাল থেকেই যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বেসরকারি বাস, অটো, ট্যাক্সি চলছে। হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশনে হরতালের কোনও প্রভাব এখনও দেখা পড়েনি।
অন্যান্য বারের মতো এদিন জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে বদ্ধ পরিকর রাজ্য সরকার। লালবাজার সূত্রে খবর, শুধু মাত্র মহানগরীতেই মোতায়েন ৩ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিন্হা রায় জানিয়েছেন, জোর করে অবরোধ, দোকানপাট বন্ধ এবং গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শূন্যপদ পূরণ, সকলের জন্য খাদ্য, শিক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযান করে বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠন। নবান্ন অভিযানকে ঘিরে বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে এস এন ব্যানার্জি রোড। এদিন বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করতেই লাঠিচার্জ করতে শুরু করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে পুলিশ। পাল্টা পুলিশের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা তাঁদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করেছে। জানা গিয়েছে, প্রায় ৩২ জন বাম কর্মী–সমর্থক আহত হয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধানী। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের আঘাত গুরুতর।
পরে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিম সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রতিবাদে বামেদের তরফে শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত অর্থাৎ ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিয়েছে বামেরা। হরতালের পাশাপাশি এ দিন ছাত্র ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে বাম ছাত্রসংগঠনগুলি। এদিকে, শুক্রবারই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুলতে চলেছে রাজ্যে। কিন্তু স্কুলে গেলে ছাত্রছাত্রীদের বাধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এসএফআইয়ের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য।
হরতালের সমর্থনে ১১টায় এন্টালি মার্কেটের কাছ থেকে মিছিল শুরু করবে বামেরা। সেখানে থাকবেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম, আরএসপি-র সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য, সহ বাম ও বাম সহযোগী দলের নেতৃত্বরা।