প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বাজেট। গোটা দেশ তাকিয়ে রয়েছে ১ ফেব্রুয়ারির দিকে। দেশজুড়ে সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভের আবহকে কিছুটা হলে প্রশমিত করতে পারে সাধারণ বাজেট। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে এটাই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। সেই হিসেবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের কাছেও এই বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট বক্তৃতা দেবেন নির্মলা। সে তো তৈরি হওয়ার পরে। তার আগে আড়াল থেকে বাজেট তৈরির গোপন ও গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হচ্ছে পাঁচ অফিসারের নেতৃত্বে।
রাজীব কুমার, কেন্দ্রীয় অর্থসচিব
তিনিই অর্থমন্ত্রকের প্রধান। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে ব্যাঙ্ক সংস্কার থেকে ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ পরিকল্পনা, বেসরকারিকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তিনিই নিয়ে থাকেন। বাজেটে তিনি ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের সমস্যা মোকাবিলায় সুরাহার পথে খুঁজে দিতে পারেন।
অতনু চক্রবর্তী, ইকনমিক অ্যাফেয়ার সেক্রেটারি
গত জুলাই মাসে এই দফতরে এসেছেন অতনু চক্রবর্তী। তিনি সরকারি সম্পত্তি বিক্রির বিশেষজ্ঞ। আর্থিক মন্দা সামাল দিতে পরিকাঠামো বিনিয়োগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ দেন তিনি। বাজেটের ঘাটতি মেটাতে তাঁর পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে বাজেটে।
টিভি সোমনাথন, এক্সপেনডিচার সেক্রেটারি
অর্থমন্ত্রকে তিনি একেবারেই নতুন। সরকারি খরচকে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসার কাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে কাজ করেছেন। সুতরাং, নরেন্দ্র মোদী কী ধরনের বাজেট চান, তার ধারণা রয়েছে সোমনাথনের।
অজয়ভূষণ পাণ্ডে, রেভিনিউ সেক্রেটারি
সরকারের আর্থিক রিসোর্স বাড়ানোর কাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন অজয়ভূষণ পাণ্ডে। কর আদায় কমে যাওয়ায় তিনিই সম্ভবত এই বাজেটের আগে সবচেয়ে চাপে রয়েছেন। ডিরেক্ট ট্যাক্স কোডের ক্ষেত্রে তিনি বেশ কিছু প্রস্তাব দিতে পারেন।
তুহিনকান্ত পাণ্ডে, ডিসইনভেস্টমেন্ট সেক্রেটারি
মনে করা হচ্ছে, এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির সিদ্ধান্তের পিছনে হাত রয়েছে তুহিনকান্ত পাণ্ডের। সরকারের আয় বাড়াতে কোথায় কতটা বিনিয়োগ কমানো যায়, সেই বিষয়ে পরামর্শ দেন তিনি। বাজেটেও তার প্রভাব পড়তে পারে।