ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু, বহু মানুষ ঘর ছাড়া, অত্যাচারিত ও রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা ফেরাতে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগুর দাবি জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে মামলা হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে নোটিশ পাঠিয়েছিল। শুক্রবার ছিল এই মামলার শুনানি। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়কেই আদালতের তরফের নোটিশ পাঠানো হলেও কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে আজকের শুনানিতে কেউই হাজির ছিল না। সেই কারণেই এই মামলার শুনানির জন্য ফের দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিনিত সরণ ও বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চ জানিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য দু’পক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি। সেই জন্যই শুনানি আরো দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হল। বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ ওঠে। রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে বিজেপি। সেই সময় অভিজিৎ সরকার নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। অভিজিতের পরিবারের তরফে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করা হয়। তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
এই আবেদনের ভিত্তিতে রাজ্যকে নোটিশ পাঠিয়েছিল শীর্ষ আদালত। অন্যদিকে রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসন পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসায় দুষ্কৃতীদের মদত দিচ্ছে বলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল হিংসায় অন্তত ১৫ জন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ ঘরছাড়া। মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতন হচ্ছে। তাদের ঘরে ফেরানো সহ পুনর্বাসন ও কেন্দ্রকে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হোক বলে মামলাকারীর আর্জি জানিয়ে ছিল।
এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট ১ জুলাই কেন্দ্র-রাজ্য ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নোটিশ পাঠায়। আজ আদালত মামলার দুপক্ষেরই বক্তব্য জানতে চাইছিল। কিন্তু আজ কেন্দ্র, রাজ্য দু’পক্ষই গরহাজির থাকায় সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল ১৪ দিন।