রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজারের গণ্ডি পার করল। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের নিরিখে যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। ওই সময়ের মধ্যে কোভিড রোগীর মৃ্ত্যুর সংখ্যা ফের ১০০ পার করল। এই নিয়ে টানা ৪ দিন। কোভিডে মৃতের মোট সংখ্যাও ১২ হাজার পার করল রাজ্যে। সেই সঙ্গে, উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় ফের দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ৪ হাজারের কাছে পৌঁছেছে। তবে সংক্রমণ বাড়লেও রাজ্যে দৈনিক টিকাকরণ কমে প্রায় ৮৫ হাজার হয়েছে।
রাজ্য জুড়ে নানা ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে কোনও ভাবেই রোখা যাচ্ছে না। শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ১৯ হাজার ২১৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেই নতুন আক্রান্ত ৩ হাজার ৯৫৭ জন। অন্য দিকে, কলকাতাতেও নতুন করে ৩ হাজার ৯১৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এ ছাড়া, হুগলি (৯৯২), হাওড়া (৯৩৪), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৯৭০), নদিয়া (৮৯৫), বীরভূম (৮২৭), পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানে যথাক্রমে ৮০২ ও ৮৯২ জনের মধ্যে নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। পাশাপাশি, পূর্ব ও এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে যথাক্রমে ৬৯২ ও ৬৫৩ জন দৈনিক আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৮২। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সংক্রমণের মোট হার দাঁড়িয়েছে ৮.৮০ শতাংশে।
আক্রান্তের সংখ্যার মতোই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোভিডে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের হিসাবে, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১১২ জন কোভিড মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় যথাক্রমে ৩৩ ও ২৮ জন সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। ৬ জন করে মারা গিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে। জলপাইগুড়ি, বীরভূম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, দার্জিলিং এবং হাওড়ায় ৪ জন করে মারা গিয়েছেন। পাশাপাশি, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হুগলিতে ৩ জন করে সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানে ২ জন করে রোগী মারা গিয়েছেন। পূর্ব বর্ধমানে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১২ হাজার ৭৬ জনের মৃত্যু হল। সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণের জোর দেওয়ার কথা বললেও ১ দিনে মাত্র ৮৪ হাজার ৫০৮ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে ওই সময়ের মধ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে সাড়ে ৬৪ হাজারের বেশি।