সারা রাজ্য লকডাউন হয়ে যাওয়ায় কর্মস্থলে পৌঁছতে পারছিলেন না জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। চিকিৎসক নার্স স্বাস্থ্যকর্মী পুলিশ থেকে পুরসভার কর্মী এমনকি অনেক সাংবাদিকও লকডাউন এর ফলে বিপদে পড়ে গিয়েছিলেন। এমন কি করোনা সংক্রমিত রোগীদের বাসে করেই গাদাগাদি করে নার্স স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে আসার অভিযোগ উঠেছিল। এই অব্যবস্থা কাটাতেই এবার শহরের ছটি রুটে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য পরিবহন দফতর। চলবে সীমিত সংখ্যক অ্যাপ ক্যাবও।
আপাতত ৬টি রুটে এই পরিষেবা চালু থাকছে। রুটগুলি হল— হাওড়া স্টেশন থেকে কামালগাজি, এসপ্ল্যানেড থেকে আমতলা, হাওড়া স্টেশন থেকে নিউডাউন, ডানলপ থেকে বালিগঞ্জ, হাওড়া স্টেশন থেকে গড়িয়া, জোকা থেকে বারাসত। তবে যেহেতু বিমান পরিষেবা বন্ধ, তাই বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন রুটে বাস চালানো হচ্ছে না।
এই রুটগুলিতে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাস চলবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সাধারণ যাত্রী সংখ্যার তুলনায় কম যাত্রীসংখ্যা বহন করা হবে। আর প্রত্যেকটি বাসে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে।
এই পরিস্থিতিতেও যাত্রী পরিবহণে কোনও রকম সমস্যা হলে কয়েকটি নাম্বারে ফোনও করা যাবে। সেগুলি এদিন থেকে চালু করা হয়েছে। নম্বর গুলি হল, ০৩৩-২২৩৬ ১৯১৬, ০৩৩-২২৩৬০৪৬২,৯৪৩২০২২১৪৭,৮৬৯৭৭৩৩৩৯১, ৮৬৯৭৭৩৩৩৯২। যে কোনও সমস্যায় হোয়াটসঅ্যাপেও অভিযোগ জানানো যাবে। নম্বর হল — ৯৮৩০১৭৭০০০।
ওলা এবং উবরের কন্ট্রোল নম্বর হল ৯৪৩৪৩১৫৮৯২,৮৩৩৫০০২১৩৩, ৯৪৩৪৫৫৪৯৪।
রাজ্য পরিবহণ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রজনবীর সিংহ কপূর বলেন, ‘প্রশাসনের নির্দেশে জরুরি পরিষেবা দেওয়ার জন্যই এই বাস চালানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এই বাসে উঠতে পারবেন না। জরুরি পরিষেবায় সংযুক্ত মানুষজন নিজেদের পরিচয় পত্র দেখিয়ে নিজেদের গন্তব্যে যেতে পারবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনলাইন অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানা হবে।’