মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে রড়েল মন্ত্রকের সাড়া।এবার থেকে রেলকর্মীদের জন্য স্পেশাল ট্রেনে উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। সরকারি-বেসরকারি সব স্বাস্থ্যকর্মীই উঠতে পারবেন স্পেশাল ট্রেনে। ট্রেনে ওঠার আগে স্বাস্থ্যকর্মীদের দেখাতে হবে নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র। আনতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতিপত্র। হাওড়া-শিয়ালদা ডিভিশনের কাছে স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য রেল কর্মীদের জন্য স্পেশাল ট্রেনে যাতায়াতের জন্য আবেদন করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে রেলওয়ের ডিআরএম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত গত ৫ মে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণের পরই করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে কিছু বিধিনিষেধ জারি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে গণ পরিবহনের ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ নেয় রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী ৫ মে জানান, ৬ মে থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা ১৪ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে। রেলের তরফে এর পরেই জানানো হয় রাজ্যের তরফে পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা তারা বন্ধ রাখবে। এরপর থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়।
রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের ফলে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। কেননা লোকাল ট্রেন বন্ধ হলেও বন্ধ হয়নি কোনও অফিস। তাতেই চাকরি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় মানুষের মধ্যে চিন্তা বাড়তে থাকে। সবারই রোজগার হারানোর চিন্তা মাথায় চেপে বসে। রাজ্যে একটা বড় অংশের মানুষ লোকাল ট্রেনে রোজ অফিস যাতায়াত করেন। এই তালিকায় রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। তাই তাঁদের কথা মাথায় রেখেই স্টাফ ট্রেনে যাতায়াতের অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য সরকার । গত শুক্রবার হাওড়া ও শিয়ালদার ডিআরএম-কে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তিনি আবেদন করেছিলেন যে, রেলের কর্মীদের জন্য যে স্পেশ্যাল ট্রেনগুলি চলে সেগুলিতে ‘পরিচয়পত্র দেখিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতে সুযোগ দিক রেল।” রাজ্য সরকারের এই আবেদন মেনে নিয়েছে রেল মন্ত্রক।
গত কিছুদিন ধরেই রাজ্যে লাগামছাড়াভাবে বাড়ছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। সংক্রমণ বাড়ার অন্যতম কারণ অবশ্যই গণ পরিবহণ ব্যবস্থা। কারণ, ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে যাতায়াতের ফলে সংক্রমণ বাড়ছে, একথা চিকিৎসকরা বলছেন। সেদিকে নজর রেখেই পরিবহণ ব্যবস্থায় রাশ টানার জন্য কয়েকটি ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ৫ মে তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে, রাজ্যে সমস্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সংখ্যায় অর্ধেক হবে রাজ্য পরিবহণের বাস ও মেট্রো। বিমানে আসা-যাওয়া করতে গেলে চাই কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট।