ফের রেল অবরোধ কাঁকিনাড়া রেল স্টেশনে। এলাকায় লাগাতার বোমাবাজি ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এ দিন সকাল সকাল পথে নামেন সেখানকার বাসিন্দারা। সকাল সোওয়া নটা থেকে শুরু হয় কাঁকিনাড়া স্টেশনে রেল অবরোধ। অফিসের ব্যস্ত সময়ে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। পরে রেল পুলিশের মৌখিক আশ্বাসে দু ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ অবরোধ ওঠে।
আজও কাঁকিনাড়া কাটাডাঙা রেল কোয়ার্রটার্স থেকে ৫০ টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তল্লাশি চালায় রেল কোয়ার্টার্স এলাকায়। পরিত্যক্ত একটি জায়গা থেকে বোমা ও তৈরির মশলা উদ্ধার করে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে কাঁকিনাড়া ভাটপাড়া এলাকায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব ও বোমাবাজিতে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ। শিকেয় উঠেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
ভাটপাড়া বিধানসভার উপ নির্বাচন ঘিরে গত ১৯ মে থেকে তেতে ওঠে ভাটপাড়া। শুরু হয় বিজেপি ও তৃণমূলের তুমুল সংঘর্ষ। ভাঙচুর, বোমাবাজি, গুলিবৃষ্টিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা তল্লাট। পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা বারবার পরিস্থিতি সামাল দিলেও গত দেড় মাস ধরেই জারি রয়েছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। যখন তখন বোমাবাজি, গুলিবৃষ্টি দস্তুর হয়ে পড়েছে কাঁকিনাড়া-ভাটপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। গিয়েছে প্রাণও। প্রশাসনিক উদ্যোগে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়া গেলেও পুরোপুরি যে যায়নি মাঝেমধ্যেই মিলছে তার প্রমাণ।
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শনিবারও ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয় ভাটপাড়ার কাঁটাডাঙা রেল কোয়ার্টার্স লাগোয়া রেল মাঠে। পরে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে উত্তেজিত জনতাকে হটিয়ে দেয়। ওই দিনই দুপুর আড়াইটে নাগাদ জগদ্দল থানা এলাকায় এক দুষ্কৃতীকে ধরতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে সে গুলি ছুড়তে থাকে বলে অভিযোগ। পুলিশের পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় প্রভু সাউ (৩০) নামে ওই ব্যক্তির। রবিবার ও কাঁকিনাড়া ভাটপাড়ার বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজি চলে।
এই সন্ত্রাসের প্রতিবাদেই আজ সকাল সকালের ব্যস্ত সময়ে কাঁকিনাড়া স্টেশনে রেল অবরোধ করেন তাঁরা।