পুজোর সময়ে ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে। এবার হাইকোর্ট পরিষ্কার বলে দিল, পুজো কমিটিগুলিকে রাজ্য সরকার যে অনুদান দিয়েছে, তা মোটেই বিনোদনের জন্য নয়। বরং টাকা খরচের পূর্ণাঙ্গ হিসেব রাজ্য সরকারকে হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে। এমনকি পুজো কমিটিগুলি কোন খাতে কি খরচ করবে, এ দিন তার হিসেবও বেঁধে দিল হাইকোর্ট।
আদালতের নির্দেশ, সাব ডিভিশন অফিসারদের অনুদানের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট (ভাউচার-সহ কোন খাতে খরচ) জমা দিতে হবে পুজো কমিটিকে।অনুদানের ২৫ শতাংশ ব্যয় করতে হবে পুলিশের মাধ্যমে জনসংযোগের কাজে। বাকি ৭৫ শতাংশ টাকায় কিনতে হবে স্যানিটাইজার, মাস্ক ইত্যাদি-সহ আরও একাধিক জিনিসপত্র। তবে সব ক্ষেত্রেই রাখতে হবে রসিদ। পুজো কমিটিগুলি যাতে অন্যত্র খরচ না করে, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশাসনকে। তাদের জানিয়ে দিতে হবে, কোন খাতে কত টাকা খরচ করা যাবে। এর পাশাপাশি খরচের ভাউচারও রাখতে হবে।
পুজোয় অনুদান দেওয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন সিটু নেতা সৌরভ দত্ত। এ দিন সেই মামলার রায়ে আদালত স্পষ্ট বলে দিয়েছে, কোনও পুজো কমিটি ওই টাকা বিনোদনের জন্য খরচ করতে পারবে না। আদালত বলেছে, সরকারি টাকা বিনোদনে খরচ করা যায় না।
পুজো কমিটিগুলিকে বিল-ভাউচার সহ হিসেব দিতে হবে স্থানীয় পুলি়শকে। পুলিশ সেই হিসেব দেবে সরকারকে। তারপর পুজোর পর হিসেব সংক্রান্ত রিপোর্ট হলফনামা আকারে আদালতে জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।