রাজ্যের আশ্বাসে স্বস্তি ফিরছে পুরুলিয়ার (Purulia) পুরোহিত সহ দশকর্মা দোকানদার ও ভোগ বিক্রেতাদের। টানা লকডাউনে দরজা বন্ধ থাকা মন্দিরগুলি খোলার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথামতো সোমবার থেকেই মন্দিরের দরজা খুলে যাবে দর্শনার্থীদের জন্য। মন্দিরের পুরোহিতদের অনুমান, ওই দিন থেকেই ভক্তের সমাগম ঘটবে যথারীতি। খুলে যাবে দশকর্মা দোকান থেকে শুরু করে পূজোর সামগ্রী ভোগ বিক্রেতাদের দোকান। আগের মতোই বিক্রি হবে মন্দিরের পাশে থাকা ফুল বিক্রেতাদের দোকানেও।
তাঁদের কথায়, মন্দির খোলা থাকলেই ভক্ত ও দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটবে।স্বাভাবিকভাবেই পুজোর জন্য নানা সামগ্রী কিনবেন তাঁরা। আর এর ফলেই বিক্রি বাট্টা নতুন করে শুরু হবে পুজোর সঙ্গে যুক্ত সব ধরনের ব্যবসায়। দর্শনার্থীরা মন্দিরে এলেই দক্ষিণা বাবদ কিছু অর্থ উপার্জন হবে পুরোহিতদের।
টানা লকডাউনে ক্ষতির মুখে পড়ে পূজোর সামগ্রী বিক্রেতা ও অনুসারী ব্যবসায়ীরা। চরম ক্ষতির মুখে পড়েন পুরোহিতরাও। মন্দির বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন ফুল বিক্রেতারাও। পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন মন্দির ও সংলগ্ন এলাকার অবস্থাটা প্রায় একই। প্রচুর পূর্ণার্থীদের ভিড় হতো সেখানে। এতদিন মন্দিরে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আর ভক্তদের দেখা যায়নি। তাই মন্দির সংলগ্ন দোকান গুলিও বন্ধ রয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন এই দোকান মালিক থেকে কর্মচারী সবাই। রুটিরুজিতে টান পড়েছে সবারই।
সোমবার থেকে রাজ্যে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদুয়ারা খোলার অনুমতি মিলেছে। তবে এক সঙ্গে ১০ জনের বেশি প্রবেশ নয়। মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব।