‘দ্য ওয়ার’ নামক পোর্টালটি মিথ্যে কথা প্রচার করে। মণিপুরে বীরগতিপ্রাপ্ত জওয়ান রণজিৎ যাদবের পরিবার নাকি তাঁর প্রাপ্য টাকাপয়সা পান নি এমন প্রচার চালিয়েছিল সিদ্ধার্থ বরদারাজনের এই পোর্টাল। কিন্তু প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো জানিয়েছে যে এই প্রচার সম্পূর্ণ মিথ্যে।
চন্দ্রযান ৩’এর লঞ্চ’এর আগে এবং পরে এই পোর্টালটিই প্রথম অপপ্রচার শুরু করে যে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ মাইনে পাচ্ছেন না। ‘দ্য ওয়্যার’কে অনুসরণ করে অন্যান্য নানা অপেক্ষাকৃত অখ্যাত পোর্টালও সেই অপপ্রচারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। অতঃপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন BRICKS সম্মেলনে যোগ দিতে সাউথ আফ্রিকা গেলেন, তখন তা নিয়েও একটি মিথ্যে খবর ছড়ানোর প্রয়াস করেছিল এই ‘দ্য ওয়্যার’। ফেসবুকের একজন বন্ধু ওয়াটসঅ্যাপে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে সে খবর কতখানি সত্যি। ‘দ্য ওয়্যার’এর প্রপাগান্ডার সত্যতা বিচার করার মত হতাশাজনক কাজ পৃথিবীতে বুঝি আর দ্বিতীয়টি নেই।
এই পোর্টালগুলির উদ্দেশ্য মানুষকে হতোদ্যম করা ও তাদের ইতিবাচক মনোবল ভেঙ্গে দেওয়া। ভারতের মঙ্গলে এদের অমঙ্গল। তাই ভালো কিছু ঘটতে দেখলেই মানুষের মনে তার মিষ্টত্বকে তিক্ততায় পরিণত করতে যত প্রকার ছলচাতুরি, মিথ্যা ভাষণের প্রয়োজন, তা করার প্রয়াস এরা করে এবং করে যাবে। সিদ্ধার্থ বরদারাজন মার্কিন নাগরিক। অথচ তার পোর্টাল মাথা ঘামায় কেবলমাত্র ভারতের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে। এদের দুরভিসন্ধির আর একখানি পরোক্ষ করোবরেটিভ প্রমাণ এইটিও। যদি না হত, তবে বিশ্ব রাজনীতির খবরও তারা নিশ্চয়ই করত। চীনসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলির (ভারত ছাড়া) অর্থব্যবস্থা যে টালমাটাল তা নিয়ে কোনো খবর করতে কি এই পোর্টাল গুলিকে দেখা যাচ্ছে? উত্তর হল— না। মার্কিন বাজারের অনিশ্চয়তা, মুদ্রাস্ফীতি এবং বেশ কিছু মার্কিনি স্টেট যে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের উপর ক্ষুব্ধ, তা নিয়ে কোনো খবরাখবর কি এরা দিচ্ছে? উত্তর হল— না। কিন্তু ভারতের ভালো খবরগুলিকে ‘মন্দ দেখানো’র প্রয়াসে এদের ঘাট নেই, ক্লান্তিও নেই।