আগামী কয়েকদিন রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। আগামী দু’মাসে সংক্রমিতের সংখ্যা শিখরে পৌঁছতে পারে। বুধবারই এমন আশঙ্কার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে নিজের মম্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, করোনা টেস্টের পরিমাণ বাড়বে বলেই বেশি আক্রান্ত সামনে আসবে। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মুখ্যমন্ত্রীর কথাকেই সত্যি করে এদিন সংক্রমিতের সংখ্যা একলাফে অনেকটাই বাড়ল। মৃত্যু ছুঁলো হাজারের গণ্ডি।
বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জানানো হল, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৫৮৯ জন। যা গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এর মধ্যে শুধু কলকাতাতেই একদিনে ৪২৫ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে ভাইরাস। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা (৩৪৭)। রাজ্যে মোট আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল ৩৪ হাজার ৪২৭-এ। লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে কোভিড পজিটিভ সংখ্যাটা ১২ হাজার ৭৪৭। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলে রাজ্যে বেড়ে চলেছে মৃত্যুও। স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে করোনার বলি ২০। যার মধ্যে তিলোত্তমাতেই শুধু প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে এই মারণ ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে ১ হাজার জনের প্রাণ। অর্ধেকের বেশি মৃত্যু কলকাতায় (৫২৫)।
চিন্তার ভাঁজ চওড়া করছে সুস্থতার নিম্নমুখী হারও। একটা সময় যেখানে সুস্থতার হার প্রায় ৬৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল, সেখানে এখন রাজ্যে সেই হার ৬০.০৬ শতাংশ। বর্তমানে করোনাজয়ীর থেকে আক্রান্তর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। এদিনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৪৯ জন। যার মধ্যে কলকাতায় সুস্থ ২২৫ জন। এখনও পর্যন্ত বাংলার মোট করোনাযোদ্ধা ২০ হাজার ৬৮০ জন।
তবে দ্রুত করোনা রোগী চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়াও চলছে সমান তালে। ট্রেসিং, ট্যাকিং আর টেস্টিংয়ের জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তর। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন ১১ হাজার ৩৮৮টি নমুনা টেস্ট হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৬ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯২৮টি স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে।