বিমল গুরুং (Bimal Gurung) শীঘ্রই পাহাড়ে ফিরতে পারেন। এমন খবর চাউর হওয়ার পরেই দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং জুড়ে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে পাহাড়ের রাজনৈতিক আবহাওয়া। এতদিন তৃণমূলের ছত্রছায থেকে রাজনীতি করা বিনয় তামাং এবং অনিত থাপারা ইতিমধ্যেই সুর ছড়িয়ে বিরোধিতা শুরু করে দিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (Gorkha Janmukti Morcha) সুপ্রিমোর। গত রবিবার গুরুংয়ের পাহাড়ে প্রত্যাবর্তনের বিরোধিতা করে এক মিছিল করেছেন বিনয় তামাং অনুগামীরা। তাঁরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, কেন ফের গুরুংকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে ? কারণ, বিমল গুরুং রোশন গিরিরা এখন যে প্রস্তাব নিয়ে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন, তা তাঁরা ২০১৭ সালেই মেনে নিতে পারতেন। তাহলে অহেতুক পাহাড়ে হিংসার রাজনীতি হত না। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতো না। তেমনই একজন বিশৃঙ্খলাবাদী নেতাকে প্রশ্রয় দিলে পাহাড়ের রাজনীতি আগামী দিনে আরও ঘোরালো তথা উত্তপ্ত হতে পারে বলেই মত বিনয় তামাং শিবিরের তেমনটাই সূত্রের খবর।
সবচেয়ে বড় গোল বেধেছে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (Gorkha Territorial Administration) ক্ষমতা নিয়ে। এতদিন রাজ্য সরকার গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চালাত বিনয় তামাংদের সামনে রেখে। কিন্তু বিমল গুরুং পাহাড়ে ফিরে আসার পর সেই সমীকরণে বদল হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই এই রাজনীতিতে বিনয় তামাং ও বিমল গুরুং শিবিরের মধ্যে বড়োসড়ো সংঘাত দেখা দিতে পারে। সংঘাত দেখা দিলে সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী হবেন বলেই মনে করছে বাংলার রাজনৈতিক মহল। নিজেদের বিরোধী অবস্থানের কথা বোঝাতেই রবিবার বিনয় তামাং শিবিরের যুব সম্প্রদায়ের কর্মীরা পাহাড়ে মিছিল করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যেই বার্তা পাঠাতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস বিনয় তামাং ও বিমল গুরুংয়ের মধ্যে যে কোনও একজনকে বেছে নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। নাকি কৌশলী পদক্ষেপ করে বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত দু’পক্ষকেই হাতে রাখা চেষ্টা করবে জোড়া ফুল শিবির? দিকেই তাকিয়ে পাহাড়ের রাজনৈতিক মহল।