স্পেশাল ট্রেনে উঠতে গিয়ে হাবড়া স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে শিশুকে কোলে নিয়ে প্লাটফর্মে পড়ে গেলেন মা, তবে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন তারা ।
এই ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয় হাবড়া রেল স্টেশনে। করোনা আবহে দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে প্রায় সাত মাস ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত থাকার পর ফের শুরু হতে চলেছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা, তবে এসবের আগেই স্পেশাল ট্রেনে বাদুর ঝোলা হয়ে নিত্য যাত্রীদের ভিড় দেখা গেল ।
চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে প্লাটফর্মে পড়ে গেলন মা ও ছেলে। ভিড়ের চাপে শিশুকে কোলে নিয়ে স্পেশাল ট্রেনে উঠতে গিয়ে মা ও তার সন্তানের পড়ে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটলো বৃহস্পতিবার। এদিকে স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে শুধুমাএ রেল কর্মীদের জন্য ।
কিন্তু সে সবকিছুর তোয়াক্কা না করেই ট্রেন হাবড়া স্টেশনে থামতেই ট্রেনে ওঠার জন্য ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় নিত্য যাত্রীদের মধ্যে, তাতেই ট্রেন থেকে পড়ে যায় শিশু কোলে মা। প্লাটফর্মে পড়ে যাওয়ার কারনে সেরকম কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে এই ছবি প্রমাণ করে যথাযথ যানবাহন না পেয়ে মানুষ কতটা অসহায়।
বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ ফের রাজ্য রেলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং কিভাবে চালানো হবে রেল পরিষেবা তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা। তার আগে রেল এবং যাত্রীদের কি অবস্থা তা স্বচক্ষে প্রমাণ করার জন্য আমরা উপস্থিত হয়েছিলাম হাবরা রেল স্টেশনে।
দীর্ঘদিন করোনার জন্য ট্রেন বন্ধ। সরকারি চাকুরে থেকে দিনমজুর প্রত্যেককেই নির্ভর করতে হয় লোকাল ট্রেনের ওপর। প্রায় সাত মাস বন্ধ ট্রেন, যারা ট্রেনের উপর নির্ভরশীল এবং দিনমজুরের কাজ করে প্রত্যেকেই অর্থনৈতিক কষ্টে ভুগছেন ট্রেন বন্ধ থাকার জন্য। পাশাপাশি বাসেও বাদুড়ঝোলা ভিড়, নেই কোনো সামাজিক দূরত্ববিধি।
করোনা বিধি মানতে গিয়ে ট্রেনে ৫০শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালানোর চিন্তাভাবনা রেল এবং রাজ্যের। কিন্তু বনগাঁ শাখায় যেভাবে যাত্রীর চাপ সেখানে দাঁড়িয়ে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চললে যাত্রীদের কি অবস্থা হবে তা নিয়ে ভেবে পাচ্ছেনা কেউই। মাসখানেক আগে ট্রেন চালানো হবে বলে প্রত্যেক স্টেশনের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য গোল গোল রাউন্ড দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ছবিতে পরিষ্কার যেভাবে সাধারণ মানুষের ভিড় তাতে মানা যাচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব।
তার ওপর যদি ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলে তাহলে আরও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে, এমনটাই দাবি যাত্রীদের একাংশের ।তবে এখন সবাই রেল ও রাজ্যের বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে আছে আলোচনায় কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।