একশো দিনের কাজ প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি চুরি হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমে। নবান্নকে এমনই রিপোর্ট দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বীরভূমে এই প্রকল্পে চুরি হয়েছে ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকারও বেশি।
একশো দিনের প্রকল্পে ভুয়ো কাজের হিসাব দেখিয়ে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তার ভিত্তিতে ওই প্রকল্প খাতে কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দও স্থগিত রেখেছে। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল বাংলায় এসে পঞ্চায়েত অফিসে ঘুরে ঘুরে হিসেব চাইছে। এবং তাতে দেখা গিয়েছে, বহু পঞ্চায়েত সোশ্যাল অডিটই করেনি। হিসেবের গড়বড় ঢাকতেই তা করা হয়নি বলে অভিযোগ। সূত্রের দাবি, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সোশাল অডিট ছাড়া এই প্রকল্পে টাকা দেওয়া যাবে না।
কেন্দ্রের এই অনমনীয় অবস্থানের পর রাজ্যও সক্রিয় হয়েছে। নবান্ন থেকে জেলাকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে কেন্দ্রের গাইডলাইন মানতে হবে। সোশাল অডিট করে ভুয়ো খরচ ধরতে হবে। তারপর সেই টাকা উদ্ধার করতে হবে। এই সোশ্যাল অডিট করতে গিয়েই দেখা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি গলদ রয়েছে বীরভূমে।
অন্যান্য জেলায় ‘চুরি’ -র যে হিসেব পাওয়া যাচ্ছে মুর্শিদাবাদ- ৫৬, ৭৪, ২৪৭ টাকাপশ্চিম মেদিনীপুর- ৩২, ৫৩, ৩৪১ টাকা, আলিপুরদুয়ার-৮, ৫৬, ৪১২ টাকা, হুগলি- ৩, ৫৪, ২৯৭ টাকা, জলপাইগুড়ি- ১, ৩৯, ৩৪৮ টাকা, পূর্ব মেদিনীপুর- ১৪, ৩৯, ৯০১ টাকা, ঝাড়গ্রাম-১৪, ৪২, ১৮৬ টাকা, হাওড়া-১, ২১, ৭৩২ টাকা, নদিয়া-৩৫, ৩৭৬ টাকা, বাঁকুড়া-১৪, ১৯২ টাকা, উত্তর চব্বিশ পরগনা- ৮২৬৪ টাকা। তবে নবান্নের আমলাদের একাংশ মনে করছেন, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে জেলা স্তরে চুরি এর থেকে অনেক বেশি হয়েছে।