জয় আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছিল, শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। ভাষা শহীদ রাজেশ আর তাপসের ভূমি দারিভিট (Daribhit) ফেরায়নি বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীকে (Deboshree Chowdhury)। মন খুলে ভোট দিয়েছে তাঁরা রায়গঞ্জের এই ভূমিকন্যা কে। তাঁদের দাবি শুধু একটাই, উর্দুর বিরোধিতা করা রাজেশ আর তাপসের খুনের বিচার চায় তাঁরা। তাঁরা দেবশ্রী চৌধুরীকে বেছে নিয়েছে এই খুনের বিচার চাওয়ার জন্য। আর সেই ভূমিকন্যা দেবশ্রী স্বাধীনতার পর আজ দেশের পূর্ণমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস গড়তে চলেছেন।
বেলা ১ টা নাগাদ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ফোন করেন রায়গঞ্জের বিজেপির জয়ী প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীকে। ওনাকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, আজ সন্ধ্যে ৭ টা নাগাদ রাইসিনা হিলস থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে হবে ওনাকে। তিনি একদিকে যেমন রায়গঞ্জের সাংসদ, তেমনই তিনি সেখানকারই মেয়ে। এই খবর শোনার পর খুশির জোয়ার নেমে পড়ে রায়গঞ্জ বাসীদের মধ্যে। স্বাধীনতার পরে এই প্রথম বালুরঘাটের কোন সন্তান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় মন্ত্রী হতে চলেছেন।
এর আগে দিনাজপুর থেকে কেন্দ্রীয় পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন প্রিয় দাসমুন্সী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় স্থান পেয়েছেন তার স্ত্রী দীপা দাসমুন্সী। আরে এবার বালুরঘাটের মেয়ে দেবশ্রী চৌধুরী। রাষ্টীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ করে বিজেপিতে দেবশ্রী চৌধুরীর আত্মপ্রকাশ। ওনার বাবা রায়গঞ্জের খাদিমপুর হাইস্কুলে শিক্ষক ছিলেন। দেবশ্রীর ছাত্র জীবনের একটা বড় অংশ বালুরঘাটে কাটিয়ে চলে যান কলকাতায়। তারপর আবার ২০০৪ সালে বালুরঘাটে ফিরে এসে ওনার রাজনৈতিক এই শহরে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে।
২০০৬ সালে বিজেপির টিকিটে বালুরঘাট বিধানসভা আসন থেকে লড়াই করেন তিনি। কিন্তু ওনার নিকটবর্তী আরএসপি প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বনাথ চৌধুরীর কাছে মাত্র পাঁচ হাজার ভোটে হেরে যান তিনি। এরপর তিনি ২০১১ সালে রাজ্য বিজেপির সম্পাদক ও ২০১৪ সালে তিনি রাজ্য বিজেপির সাধারন সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে ৬০ হাজার ভোটে ওনার নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন।