তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতোকোত্তর।
কর্মজীবনের সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বহু ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন ঘটনা খবরের কাগজে এসেছে তাঁর হাত ধরে। উক্ত দুই অঞ্চলের বহু বড় বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকার নেওয়া এবং তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিকে ছাপা অক্ষরের মাধ্যমে সাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছেন তিনি। এই দীর্ঘ সাংবাদিক জীবনে সম্পাদকীয় নীতি নির্ধারন, প্রথম পৃষ্ঠার মূল সংবাদ নির্বাচন, সম্পাদকীয় স্তম্ভ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনাবলীকে সংবাদে নিয়ে আসা, এবং বর্তমান ও তাদের সামাজিক-রাজনৈতিক সাপ্তাহিকটির গঠনতন্ত্র নির্মাণ ইত্যাদি সবই রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা পত্রিকা সাপ্তাহিক বর্তমানের তিনি সম্পাদক ছিলেন। বাংলায় প্রকাশিত অগ্রগণ্য দৈনিক বর্তমানের রাজনৈতিক স্তম্ভ-লেখকও ছিলেন তিনি। সাংবাদিক জীবন ৩৪ বছরের।
আজকের তারিখে প্রবীণ সাংবাদিক শ্রী সেনগুপ্ত প্রখ্যাত সংবাদ-সাপ্তাহিক স্বস্তিকার সম্পাদক পদে রয়েছেন।
তিনি মুক্ত সাংবাদিক হিসেবেও বিভিন্ন খবরের কাগজে রাজনৈতিক স্তম্ভ লিখে থাকেন।
শ্রী সেনগুপ্ত ভগিনী নিবেদিতা মিশন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে একজন এবং ট্রাস্টের বর্তমান সাধারণ সম্পাদকও বটে। স্বামী বিবেকানন্দ ও ভগিনী নিবেদিতার আদর্শকে সামনে রেখে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
উক্ত সংগঠন, বিবেকানন্দ পাঠচক্র ও এডোর ইন্ডিয়ার সহযোগিতায়, খুলেছে “মূল্যবোধ কেন্দ্রিক শিক্ষা” পরিষেবা যাতে ৩০-৪০টি শিশু নিবন্ধিকৃত হয়েছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া এই পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ‘ব্যক্তিত্ব বিকাশ’, ‘ভাষা ও যোগাযোগের ক্ষমতা বিকাশ’, ‘শরীরচর্চা ও যোগ’, ‘নৈতিক শিক্ষা’ এবং আরও অনেক পাঠ্যক্রম।
ভগিনী নিবেদিতা মিশন ট্রাস্ট প্রতি বছর বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানও আয়োজন করে থাকে। ২০১৭তে ট্রাস্টের আয়োজিত “নিবেদিতা স্মারক বক্তৃতা”টি দিয়েছিলেন আর এস এসের মাননীয় সরসংঘসঞ্চালক শ্রী মোহন রাও ভাগবত। তাঁর ” ইন্ডিয়ান ন্যাশনালিজম এন্ড সিস্টার নিবেদিতা” শীর্ষক এই বক্তৃতা তিনি পরিবেশন করেছিলেন ৩রা অক্টোবর, ২০১৭এ। সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে।
২০১৬এ শ্রী সেনগুপ্ত নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের “তৃতীয় বর্গ প্রশিক্ষণ শিবির”এর শেষ পর্বে মূখ্য অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন।
জুলাই, ২০১৮এ তিনি ত্রিপুরা সরকার আয়োজিত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি-বক্তা ছিলেন।
আর এস এসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তার ভূমিকা গ্রহণের পাশাপাশি, সংঘের বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে তিনি খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
তিনি সেন্ট্রাল বোর্ড অভ ফিলম সেন্সরশিপ (কলকাতা)র সদস্যও বটে।
তিনি সংস্কার ভারতী (দক্ষিণবঙ্গ) র উপদেষ্টা।
বিবেকানন্দ পাঠচক্রের স্বেচ্ছাসেবী দলের তিনি সভাপতি।
স্বামীজীর ঐতিহাসিক শিকাগো বক্তৃতার ১২৫ তম বার্ষিকী পালনের উদ্দেশ্যে গঠিত কমিটির রাজ্যস্তরের সম্পাদক তিনি।
এসব ছাড়াও লেখক হিসেবেও তাঁর অবদান ঈর্ষনীয়। বাংলাভাষায় তিনি সাম্প্রতিক পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন পট পরিবর্তনের উপর বহু বই ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তাঁর লেখা সম্পাদকীয় প্রবন্ধগুলি সাধারণ মানুষ (ভোটার) এর মধ্যে প্রবল জনপ্রিয় বলে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক নেত্তৃত্ব সেগুলির দিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নজর রাখেন। সাম্প্রতিক অতীতে তিনি ভগিনী নিবেদিতার গবেষণামূলক জীবনীগ্রন্থ লিখেছেন এবং নিবেদিতা সংক্রান্ত বহু বিষয় নিয়ে অক্লান্তভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
পুরস্কারঃ
- সাংবাদিকতার জন্য মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার (মধুসূদন এওয়ার্ড কমিটি, কলকাতা)
- উন্নতমানের সাংবাদিকতার জন্য ফ্রীলান্স প্রেস ক্লাব পুরস্কার
- সাংবাদিকতার জন্য বিবেক এওয়ার্ড (বিবেক এওয়ার্ড কমিটি)
- ২০১১র বরুণ সেনগুপ্ত স্মৃতি পুরস্কারঃ স্বর্ণপদক, মানপত্র, ও এক লক্ষ টাকা। আই আই পি এম এওয়ার্ডস কমিটি এই পুরস্কারকে শ্রী সেনগুপ্তের অসামান্য সাংবাদিকতা এবং পাঠকদের সঙ্গে বহুবছর ধরে ভাগ করে নেওয়া তাঁর গভীর জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন বলে বর্ণনা করেছে।
- শ্রেষ্ঠ বাঙালি (পুর্ব কলকাতা নাগরিক সমিতি)
- তদন্তমূলক সাংবাদিকতার জন্য কে সি কুলিশ পুরস্কার (রাজস্থান সরকার)
তাঁর দ্বারা রচিত গ্রন্থাদিঃ
বাংলা ভাষায় রচিত সামাজিক-রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর বহু বই পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেগুলির মধ্যে প্রধান হল –
- চিঠিগুলি চিন্ময়ীকে – ভিন্নধর্মী প্রবন্ধ সংকলন
- উন্নয়ন – সিংগুর থেকে নন্দীগ্রাম – পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলনের উপর
- নব সাম্রাজ্যবাদ – বহুজাতিক সংস্থাগুলির ভারতীয় অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার আগ্রাসী প্রচেষ্টার উপর
- গাঢ় লাল ফিকে লাল – ভারতের কমিউনিস্টদের পরিবর্তনশীল আদর্শ নিয়ে
- উনজন – সংখ্যালঘুদের উপর
- জ্বলিছে ধ্রুবতারা খন্ড ১ ও ২ – (ভগিনী নিবেদিতার জীবনী) লুক ইস্ট পাবলিকেশন
- নিবেদিতা ও ওকাকুরা (বাংলায় বিপ্লব প্রচেষ্টা) উদয় অরুণ পাবলিকেশন
- সত্যের মুখোমুখি (ডঃ মোহিত রায়ের সঙ্গে যৌথভাবে। ইসলামি মৌলবাদের উপর।)
পেশাগত অভিজ্ঞতাঃ
বর্তমান পত্রিকা৷৷৷৷ ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ ২০০৫
পালিত দায়িত্ব –
সহকারী সম্পাদক
সম্পাদকীয় নীতি নির্ধারন
সম্পাদকীয় প্রবন্ধ গঠন
প্রথম পৃষ্ঠার প্রধান সংবাদ
গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনাবলী নিরীক্ষণ ও তাদের সংবাদ পরিবেশন
সিপিআইএমের বিভিন্ন পার্টি কংগ্রেস ও কনফারেন্স।
সিপিআই এর বিভিন্ন জাতীয় অধিবেশন।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন(এরশাদের নির্বাচন এক যুগ সন্ধিক্ষণের মুহূর্তে)
নেপলের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নব্বই দশকের প্রথম ভাগে, রা্জা বীরেন্দ্র ও গিরিজাপ্রসাদ কৈরালা সম্বন্ধিত ঘটনাবলী।
মিজোরাম আ্যকর্ড (১৯৮৬ তে রাজীব গান্ধী ও লালডেংগার মধ্যে যা মিজোদের মূল রাজনীতিতে অংশ নিতে সাহায্য করে।)
রাম জন্মভূমি আন্দোলন।
দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির সংসদীয় নির্বাচন।
বাম শাসিত রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচন।
দার্জিলিং-এ গুর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের আন্দোলন ১৯৮৮ সালে।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে সম্পাদকীয়, নিউজ আর্টিকল ও দূরদর্শনে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ।
পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলে মাওবাদী আন্দোলন।
ভারতের অগ্রগণ্য রাজনৈতিকবিদদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারঃ
রন্তিদেব বাবু দ্বারা ভারত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অগ্রগণ্য রাজনৈতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ভারতের জনগণের রাজনৈতিক মনোভাব গঠনের ক্ষেত্রে। সেগুলি অনেকক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে যোগাযোগ তৈরীর কাজ করেছে, যা অনেক সময় রাজনৈতিকদের পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের দিশা হিসেবেও কাজ করেছে, উল্লেক্ষ্য রাজনীতিবিদেরা হলেন:-
- শ্রী লালকৃষ্ণ আদবানী, প্রাত্কন বিরোধী দলনেতা ও গৃহমন্ত্রী
- শ্রী রাজীব গান্ধী ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
- শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
- শ্রী ই.এম.এস নাম্বুদিরিপাদ কম্যুনিস্ট আন্দোলনের প্রবাদ প্রতিম ব্যক্তিত্ব ও প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক
- শ্রী ভি পি সিংহ, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
- জ্যোতি বসু, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
- এন বাসব পুন্নাইয়া, কম্যুনিস্ট নেতা।
শ্রী প্রফুল্ল মহন্ত, আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
উগ্রবাদী মিজো নেতা, লালডেংগা
ত্রিপুরার উগ্রবাদী নেতা বিজয় রাংখাল
শ্রীমতি মমতা ব্যানার্জী, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
প্রকাশ কারাত, সাধারণ সম্পাদক, সিপিআইএম।
হ্উসেন মহম্মদ এরশাদ, বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি
বেগম খালেদা জিয়া, বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি
শেখ হাসিনা ওয়াজেদ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
রাজা বীরেন্দ্র ও রানী ঐশ্বর্য্য, নেপালের প্রাক্তন রাজা রানী।
গিরিজা প্রসাদ কৈরালা, নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
লতা মঙ্গেশকর-প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী।
তসলিমা নাসরিন, বাংলাদেশী লেখক।