রাজ্য সরকারের সবার জন্য ঘর প্রকল্প বা ‘হাউস ফর অল’। সেই প্রকল্পের জন্য ব্যায় করা হচ্ছে টাকা। কিন্তু অভিযোগ উঠছে গরিব মানুষদের মাথায় জোটেনি ছাদ। সেই কারণে সিউড়ি পুরসভার কাছ থেকে প্রায় নয় কোটি টাকা ফেরত নিল সরকার।
সিউড়ি পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে প্রায় ৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিলো হাউস ফর অল প্রকল্পে পুরসভাকে। খরচ না হওয়ায় সেই টাকাই এবার ফেরত দেওয়ার নির্দেশ এসেছে সরকারের কাছ থেকে।
আর এই খবর জানাজানি হতেই বর্তমান বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের একহাত নিয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতা তথা দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, “পুরপ্রশাসকরা ব্যার্থ। গরিবের বাড়ি তৈরি করতে পারছে না তারা। টাকা ফেরত যাচ্ছে। এর জবাব তৃণমূলকে দিতে হবে।” এদিকে, সিউড়ি পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর অবশ্য দাবি, যেহেতু ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ওই প্রকল্পে যে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল তার প্রায় ১৩ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। সেই বাড়িগুলি তৈরির কাজ শেষ না হওয়ায় নতুন করে বাড়ি তৈরি কাজ শুরু করেনি তারা। আর সেই জন্যই ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে দেওয়া টোকেন মানির ওই অর্থ ফেরত চাওয়া হয়েছিল এবং তা দেওয়া হয়েছে। ফের ওই টাকা আবার তারা পাবেন বলেই জানিয়েছেন প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য বিদ্যাসাগর সাউ।
গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির জন্য সরকারের দেওয়া টাকা খরচ হচ্ছে না এই ব্যর্থতা নিয়ে আগেই সরব ছিল বিজেপি। এরপর টাকা ফেরত নেওয়ার এই খবর পেতেই আরও সরব হল তারা।
প্রসঙ্গত, সবার মাথায় ছাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। খাতায় কলমে সেই সুযোগ সুবিধাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবের ছবি আলাদা। গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির জন্য সরকারের দেওয়া টাকা খরচ হচ্ছে না এই অভিযোগ আজকের নয়। এর আগে ধূপগুড়ি থেকেও একই অভিযোগ উঠে এসেছিল। সেখানে একাধিক জনগণের বক্তব্য হয় কেউ অন্য দল করেন সেই জন্য পাননি। কেউ-কেউ বলছেন যাঁদের ঘর রয়েছে তাঁরাই পাচ্ছে ঘর। কারোর আবার মতামত যাঁদের পাকা ঘর আছে, পয়সা আছে তাঁরা পাচ্ছে ঘর। কিন্তু এমন কথা কি ছিল? রাজ্য সরকারের এই ঘর প্রকল্পে সত্যিই কি ঘর পাচ্ছেন উপযুক্তরা? সিউড়ির এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে ফের একবার প্রশ্নের মুখে শাসকদল।