আজ পয়লা অগস্ট, আজ থেকে ৭৩ বছর আগে, আমাদের দেশের এক রক্তরঞ্জিত ইতিহাসের রচনা হয়েছিল। পয়লা অগস্ট থেকে পনেরোই অগস্ট, এই পনেরো দিনে ভারতের ভূগোল ও ইতিহাস দুইই পরিবর্তিত হয়ে গেছিল। ঐ পনেরো দিনের ঘটনাবলী এখন পুস্তকাকারে অনলাইন গ্রন্থাগারে হিন্দিতে ‘ওয়ে পন্দরাহ্ দিন’ নামে পাওয়া যাচ্ছে।
সেই বইয়ের কিছু অংশ বাংলায় অনূদিত করা হল:-
শুক্রবার, ১৯৪৭ সালের পয়লা অগস্ট হঠাৎ করেই এক গুরুত্বপূর্ণ দিনে পরিণত হয়। কাশ্মীরে এই দিনে এমন দুটি ঘটনা ঘটে যা, যা আপাতদৃষ্টিতে সম্পর্করহিত হলেও, আগামী দিনের মহত্ত্বের নিরিখে ঘটনাদুটির গুরুত্ব পরবর্তী দেশভাগের ঐতিহাসিক দলিলে আবশ্যিকভাবে স্থান অধিকার করবে।
পয়লা অগস্ট মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী শ্রীনগরে পৌঁছন। প্রথমবারের জন্য কাশ্মীরের মাটিতে পা রাখেন তিনি, এইটি হচ্ছে প্রথম ঘটনা।
পয়লা অগস্ট, ভারতের ইতিহাসে তীব্র ও প্রচন্ড দিনের শেষে দেখা যায় পুরো পাঞ্জাব জ্বলছে, হিংসার কবলে আক্রান্ত। সূর্য ডোবার সাথে সাথে অন্ধকারে পাঞ্জাব, বালুচিস্তান ও সিন্ধুপ্রদেশের শত শত গ্রামের জ্বলন্ত ঘরবাড়ির থেকে ওঠা লেলিহান অগ্নিশিখা দূর দূর থেকেও দেখা গেল। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ৫৮০০০ স্বয়ংসেবক দিন রাত এক করে আক্রান্ত হিন্দু ও শিখদের রক্ষা করে যাচ্ছিলেন। ঠিক একইভাবে বঙ্গপ্রদেশের অবস্থাও দ্রুত অবনতি হচ্ছিল, সমগ্র বাংলা এগিয়ে যাচ্ছিল অরাজকতার দিকে।
স্বাধীনতা ও তার সাথেই দেশভাগ ও বিভাজন, আর মাত্র চৌদ্দদিন দূরে।