পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ পুরো করেই নিজের গন্তব্যে ফিরে গেলেন নির্বাচন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার অজয় নায়েক। আর যাওয়ার আগে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অস্বস্তি। শুক্রবার কলকাতা ছাড়ার আগে তাঁর এই “টাফ টাস্ক” নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে দু চার কথা ভাগ করে নেন তিনি। বাংলার বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে মিল রয়েছে ১৫ বছর আগেকার বিহারের। ভোটের দায়িত্বে এসে দিন কয়েকের অভিজ্ঞতাতেই এমন মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তাঁর মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দিল্লির নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। কিন্তু তাতেও যে অজয় নায়েকের অবস্থান বদলায়নি তা বোঝা গেল তাঁর বিদায় লগ্নে। ফেরার সময় একই কথা শোনা গেল এই নির্বাচনী আধিকারিকের কন্ঠে। এদিন অজয় নায়েক বলেন, “আমার কাছে এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। পশ্চিমবঙ্গ আজ থেকে ১৫ বছর আগেকার বিহার হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ব্যারাকপুর অনেক কঠিন ছিল। কোনওভাবেই সন্ত্রাস মুক্ত করতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ।” নিজের বাড়ি কেরলে রওনা হওয়ার আগে পশ্চিমবঙ্গে নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় ভি নায়েক অবশ্য কোন দল প্রসঙ্গে পৃথকভাবে মন্তব্য করেননি। তবে এটুকু বলেন, “২০১৯ এর পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচন আমার জীবনের এক ঐতিহাসিক ঘটনা।” লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপির অভূতপূর্ব সাফল্যের পর রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসতে পারে। কারণ রাজ্যের ১৫ মন্ত্রীর কেন্দ্র সহ ১৩৮টি বিধানসভায় বিজেপি এগিয়ে গিয়েছে। বিধানসভা ভোটে এগিয়ে আসার ক্ষেত্রে বড়সড় ভূমিকা নিতে পারে অজয় নায়েকের মন্তব্য!
নীল রায়