মালদার ভালুকা স্টেশন দিয়ে এখনই ট্রেন চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিলেন কাটিহার বিভাগের ডিভিশনাল ম্যানেজার। আজ ভালুকা এবং হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন পরিদর্শনের পর ডিআরএম একথা জানান। বিজেপির একটি প্রতিনিধি দলও আজ ভালুকা স্টেশন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কিন্তু সেই প্রতিনিধি দলকে স্টেশনে ঢোকার অনুমতি দেয়নি জেলা প্রশাসন। এই নিয়ে তাঁরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য গত রবিবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে ভালুকা স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। তারা টিকিট কাউন্টার, কন্ট্রোল রুম ভেঙ্গে দেয়। এরপর স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় দুঘণ্টা ধরে এই তান্ডব চলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। একইভাবে বিক্ষোভ এবং ভাঙ্গচুর করা হয় হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনেও। সেই ঘটনার পর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। কারণ উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ ভালুকা রোড স্টেশন ও হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন।
আজ এই দুই স্টেশন পরিদর্শন করলেন এনএফ রেলওয়ের কাঠিহার ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার রবিস কুমার।তিনি জানান রেল চালানোর জন্য যে পরিকাঠামো ছিল তা সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে গেছে। ফলে এখনই ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। পরিকাঠামো তৈরি করার পর ট্রেন চালানো হবে। তিনি জানান, শুধু ভালুকা রোড স্টেশনের ক্ষতির পরিমাণ ৭০লক্ষ টাকা। গতকাল ৪০টি মালগাড়ি চালানো হয়েছে। যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে আরো কিছু সময় লাগবে।
আজ বিজেপির এক প্রতিনিধি দলও মালদা জেলার ক্ষতিগ্রস্ত দুই রেল স্টেশন হরিশ্চন্দ্রপুর ও ভালুক রোড স্টেশন পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জেলা পুলিশ প্রশাসন তাঁদের সেই অনুমতি দেয়নি। উত্তরমালদার সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে এই দুটি স্টেশন পরিদর্শনের কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক এবং বিজেপি নেতা রথীন বোস।
হরিশ্চন্দ্রপুর ভালুকা স্টেশন যাওয়ার পথে বিজেপির প্রতিনিধিদলকে আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। সেখান থেকে খগেন মুর্মু ও নিশীথ প্রামাণিক’কে গ্রেফতার করে পুলিশ।