ভোটার কার্ডের পরিবর্তে ভোটার স্লিপ ব্যবহার করেও অনেক সময় দেওয়া যেত ভোট। কিন্তু এবার ভোটার স্লিপকে ভোটদাতার পরিচয় হিসাবে ব্যবহার করে ভোট দেওয়া নিষিদ্ধ করল কমিশন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্যে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সেক্রেটারি এন টি ভুটিয়া ওই নির্দেশিকা জারি করেছেন।
বিষয়টি সমস্ত রাজ্যের রিটানিং ও প্রিসাইডিং অফিসারদের জানিয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বিএলওদের দেওয়া ফটো ভোটার স্লিপ অতীতে ভোটদাতার পরিচয় পত্র হিসাবে ব্যবহার করা গেলেও এবার তা করা যাবে না। ওই স্লিপ থাকলেও কমিশন নির্দেশিত ১২টি নথির অন্তত একটি ভোটদানের সময় ভোটদাতাকে দেখাতেই হবে। প্রথম নথি হিসাবে এপিক বা ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্রকেই রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের আন্ডার সেক্রেটারি পবন দিওয়ান বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ভোট দানের জন্য ফটো ভোটার স্লিপ প্রামাণ্য পরিচয়পত্র হিসাবে গণ্য হবে না। ভোট দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন ঘোষিত পরিচয়পত্রগুলির একটি থাকা আবশ্যিক।
অতীতে কমিশন প্রকাশিত ভোটদাতার পরিচয় সংক্রান্ত ১২টি নথি ছাড়াও ভোটার স্লিপকে ভোটদাতার পরিচয় পত্র হিসাবে গ্রহণ করা হত। বিএলওদের মাধ্যমে ওই স্লিপ ভোটারদের দেওয়া হত।
কিন্তু ওই ফটো ভোটার স্লিপকে ভোটদাতার পরিচয়জ্ঞাপন নথি হিসাবে গ্রহণ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ কমিশনের কাছে জমা পড়ে। শুধু তাই নয় ওই ফটো ভোটার স্লিপে কোনও নিরাপত্তা চিহ্নও থাকে না। ফলে ওইটিকেই ভোটদাতার একমাত্র পরিচয়পত্র হিসাবে ধরে নেওয়ার নিয়ে আপত্তি ওঠে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন ওই ফটো ভোটার স্লিপকে ভোটদাতার একমাত্র পরিচয়জ্ঞাপক নথি হিসাবে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিল।