মনোনয়ন পত্র পেশের সময় পর্যবেক্ষকরা এবার থেকে আরও নজরদারি বাড়ালো। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এই খবর জানা গেছে। নিয়ম হচ্ছে মনোনয়নের সময় কমিশন নিয়োজিত পর্যবেক্ষক সেই প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখবেন। তবে নির্বাচন নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নের সময় পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত থাকতে না পারলে সেই মনোনয়ন প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। মনোনয়ন বাতিলের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফায় ১৩টি ও দ্বিতীয় দফার ভোট ২টি মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তৃণমূলের জয়পুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যান। তবে শেষে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। এর পরেই নির্বাচন কমিশন ঠিক করে মনোনয়ন যাচাইয়ে আধিকারিকদের আরও সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। ঠিক হয়েছে মনোনয়নের এই প্রক্রিয়ার ভিডিও রেকর্ডিং দেখবেন সংশ্লিষ্ট বিধানসভার পর্যবেক্ষক। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ যদি কোনও আধিকারিক কমিশনের এই নির্দেশ অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন পর্যবেক্ষকরা।
প্রসঙ্গত এর আগেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজ্যের সবকটি জেলার নির্বাচনী আধিকারিককে নির্দেশ দিয়েছিলেন, চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হয়ে এবং মনোনয়নে গুরুতর ত্রুটি থাকলে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে। আর ছোটোখাটো ভুল যদি মনোনয়নের সময় হয়ে থাকে তবে সেটা প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে মিটিয়ে নিতে হবে। তবে সব প্রার্থীর মনোনয়ন সমান গুরুত্ব দিয়ে যাচাই করতে হবে। এই কাজ করবেন নির্বাচনী আধিকারিকরা। আর এই ক্ষেত্রে কোনও নির্বাচনী আধিকারিকের ত্রুটি প্রকাশ পেলে তাঁকে সাসপেন্ড করা হবে।
নির্বাচন কমিশন এবার করোনা আবহে নির্বাচন পরিচালনা করছে। তাই মনোনয়ন পেশের সময় ভিড় যাতে না হয় সেই নিয়ম বেঁধে দিয়েছে কমিশন। কমিশনের নির্দেশ মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট নির্বাচন আধিকারিকের অফিসের ২০০ মিটারের মধ্যে ৫জনের বেশি প্রার্থী সহ যাওয়া যাবে না। মনোনয়নের পুরো প্রক্রিয়াটির সময় ভিডিওগ্রাফি করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট বিধানসভার পর্যবেক্ষককে মনোনয়নের সময় উপস্থিত থাকতে হবে।