সম্পন্ন পরিবারের ছেলে। সাউথ পয়েন্ট আর ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি। প্রার্থী হওয়ার বিচারে এ সবের চেয়েও বোধ হয় বেশি প্রাধান্য পেয়েছে আদর্শ আর নিষ্ঠা। বিজেপি এবার তাঁকে, মানে ইন্দ্রনীল খাঁ-কে প্রার্থী করেছে কসবার মত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে।
ছাত্রাবস্থায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে ছিলেন ৮ বছর। ওই সংগঠনের রাজ্য সহ সভাপতি এবং জাতীয় কার্যকরী সমিতির সদস্য ছিলেন। তবে, বড় নির্বাচনে এই প্রথম প্রার্থী হলেন। পেশায় চিকিৎসক, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ। ‘হিন্দুস্থান সমাচার’-কে বললেন, “৩৪ বছরের বাম শাসনে এ রাজ্যের দ্রুত অধোগতি হয়েছে। এর পর প্রায় এক দশক কেবল ভাঁওতাবাজি। শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্র বেহাল। আমাদের পাখির চোখ একটাই, লক্ষ্য সোনার বাংলা“।
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বরিষ্ঠ তৃণমূল নেতা কসবায় জেতেন। দ্বিতীয় হন সিপিএমের নবীন সম্ভাবনাময় শতরূপ ঘোষ। ওঁদের তুলনায় বিজেপি-র ভোট ছিল অনেকটাই কম। এবারেও ওই কেন্দ্রে ওঁরা দু’জন ওই দু’দলের প্রার্থী। এই সব হিসেবে অবশ্য মাথা দিতে চাননা ইন্দ্রনীল। এই প্রতিবেদককে সাফ জানালেন, “ওই সব অঙ্ক কষে লাভ নেই। এবার পরিস্থিতি অন্যরকম। বিজেপি জিতবে।“ সোমবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ইন্দ্রনীলের প্রাথমিক কাজ। কসবার ভোট ১০ এপ্রিল। আগামীকাল সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে। বুধবার ওঁর মনোনয়ন পেশের পরিকল্পনা।
2021-03-21