গতকাল, বুধবার থেকেই বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে রাজনৈতিক মহল তোলপাড়। এমনকি বিজেপির নবান্ন অভিযানের ওপর ভিত্তি করে দু’দিন নবান্নের কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। যদিও স্যানিটেশন এবং থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের যুক্তি দিয়ে রাইটার্স ও নবান্ন বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য। তবুও বিজেপিকে ভয় পেয়ে শাসক দলের এই সিদ্ধান্ত, এমনটাই বিজেপির দলীয় নেতৃত্ব দাবি করেছে। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তাই বিজেপির নজরে একুশ। বিজেপি যুব মোর্চার ডাকা এই নবান্ন অভিযান ঘিরে তত্পর হাওড়া কমিশনারেটের পুলিশ। মিছিল আটকাতে সবকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসেছে ব্যারিকেড। মোতায়েন কমব্যাট ফোর্স।
একদিকে পদ্ম শিবির যখন এই অভিযান সফল করতে মরিয়া, তখন অভিযান রুখে দিতে তত্পর পুলিশও। পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা শহরকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি সেক্টরে একজন করে ডিআইজি পদ মর্যাদার আধিকারিক থাকবেন দায়িত্বে। কলকাতা ছাড়া হাওড়ার দুই প্রান্ত থেকে দুটি মিছিল যাবে নবান্নে।
এছাড়াও আন্দুল রোডের লক্ষীনারায়ণ তলাতে মিছিল আটকাতে থাকবে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। প্রত্যেকটি বলয়ে থাকছে কমব্যাট ফোর্স, র্যাফ এবং রোবোকপ। এছাড়াও থাকছে জলকামান। চলবে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি।
সব মিলিয়ে বিজেপির নবান্ন অভিযান রুখে দিতে তৎপর রাজ্য পুলিশ। কিন্তু কোনও বাধাই আজকের নবান্ন অভিযান রুখতে পারবে না, এমনটাই দাবি করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি দলীয় নেতাদের পাশাপাশি এই মিছিলে থাকবে রাজ্যের বিভিন্ন বিজেপি কর্মীরা। বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই এই নবান্ন অভিযান করা হচ্ছে। তবে করোনা পরিস্থিতিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রায় পঞ্চাশ হাজার লোক নিয়ে এই মিছিল করবে বিজেপি। আর সেটাই আটকে দিতে মরিয়া রাজ্য পুলিশ। এখন শেষমেষ কী হয়, সেটাই দেখার।