হাই স্কুলের গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের টিজিটি স্কেল প্রদান সহ একাধিক দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষকরা। রবিবার থেকে ধর্মতলায় শহীদ মিনারে তিন দিনের ধর্নায় বসেছেন গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বিজিটিএ।
বিজিটিএ রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য জানান, টিজিটি স্কেল সহ একাধিক দাবি নিয়ে গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে।এর আগেও দাবিদাবা নিয়ে বিভিন্ন ভাবে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেও এই ন্যায্য অধিকারের কথা জানিয়ে এসেছি। শিক্ষামন্ত্রীও উক্ত বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন।কিন্তু ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্টে সরকার সেই সমস্ত আশ্বাস পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় শিক্ষকদের ক্ষোভ আরও চরমে পৌঁছেছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যসরকারের এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলার ডিআই অফিসে ডেপুটেশন দিয়েছি । তাতেও সরকারের টনক না নড়ায় এবার শহরের বুকে ধর্নায় বসতে বাধ্য হয়েছেন শিক্ষকরা । কেন এই আন্দোলন? কী বলছে সংগঠন কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুসারে টিজিটি এবং পিজিটি ক্যাটাগরির শিক্ষকদের ব্যাসিক পে’র মধ্যে পার্থক্য থাকার কথা ২৭০০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে এই রাজ্যে সেই পার্থক্য ১০০০০ ছুতে চলেছে।তাদের মতে রাজ্য সরকার গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের ‘পাস ক্যাটাগরি’ নামক শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত করায় এই পার্থক্য আরও চরম আকার ধারণ করেছে।
আবার গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের টিজিটি স্কেল প্রদান না করেই ষষ্ঠ পে কমিশন কার্যকর হওয়ায় এই পার্থক্য আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা। বিজিটিএ সংগঠনের দাবি, এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তারা।
হাইকোর্টও তাদের পক্ষেই রায়দান করে এবং রাজ্যসরকারকে এই সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দেন।কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্যসরকার হাইকোর্টের রায় অনুসারে গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের এই বেতন বৈষম্য দূরীকরণে কোনোরকম উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাই আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে শিক্ষকদের ধর্না।