ফের আন্দোলনে নামলেন উত্তরবঙ্গের প্রায় সাড়ে চার লক্ষ চা শ্রমিক। ধারাবাহিক বঞ্চনার শিকার হওয়া শ্রমিকরা তীব্র সংকটের মধ্যে রয়েছেন। মিনিমাম ওয়েজ অ্যাডভাইসারি কমিটির চুড়ান্ত আলোচনার পর আজও চা শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি চালু হয়নি বলে অভিযোগ।
অন্তর্বর্তীকালীন মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে শ্রম দফতরের জারি করা একাধিক নির্দেশিকা চা শিল্পের শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
এর প্রতিবাদে আবার আন্দোলনে নামল চা শ্রমিকদের যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট ফোরাম। মঙ্গলবার তরাই ও ডুয়ার্সের প্রায় প্রতিটি বাগানেই গেট মিটিং করা হয় । এদিনের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাগানগুলির স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি তোলেন শ্রমিক নেতারা।
তাঁদের অভিযোগ গত আট বছর ধরে আবাসন ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অ্যাডভাইসারি কমিটি নিষ্ক্রীয়। নতুন করে কমিটি তৈরি করা হয়নি বলে জানান তাঁরা৷ ফলে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই চা শ্রমিকদের বস্তিতে আবাসন, পানীয় জল, পয়: প্রনালীর অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়েছে। এই সংকট দ্রুত বাড়ছে।
পাশাপাশি খাদ্য সুরক্ষা আইন ২০১৩ চুড়ান্ত বাগান মালিকদের পক্ষে প্রয়োগের ফলে রাজ্যের মধ্যে অপুষ্টির শিকার হওয়া সবচেয়ে বেশি এলাকা চা বাগানের শ্রমিক – শ্রমিক পরিবারগুলোতে। তাদের আইনি অধিকার ও মজুরির অংশ হিসেবে প্রাপ্য রেশন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এছাড়া চা বাগানগুলোর ভূমিহীন বাসিন্দাদের জমির পাট্টা প্রদানের গুরুত্বপূর্ণ দাবি আজও অমীমাংসিত। এই বিষয়গুলো নিয়ে এদিন জয়েন্ট ফোরামের পক্ষ থেকে ফের জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলা হয়।