পঞ্চম দফায় রাজ্যের ৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ৷ সোমবার ওই ৭টি কেন্দ্রে মোট ৫৭৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ এই সাতটি কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রও৷ উত্তর চব্বিশ পরগনা এবং নদিয়ার কিছুটা অংশ নিয়ে এই লোকসভা কেন্দ্রটি গঠিত হয়েছে। এবার একনজরে দেখে নিন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রটি৷
পোলিং স্টেশন – ১৮৯৯
মোট মাইক্রো অবজারভার – ১০৫,
ভিডিও ক্যামেরা – ৫৩টি,
সিসিটিভি – ১২৫ টি,
ওয়েব কাস্টিং – ৩০০
মোট ভোটার – ১৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ১৪৬ জন,
নতুন ভোটার – ৪৭,৩৯৮ জন
প্রার্থী সংখ্যা – ১০জন
উল্লেখযোগ্য প্রার্থী –
তৃণমূল কংগ্রেস – মমতাবালা ঠাকুর
বিজেপি – শান্তনু ঠাকুর
সিপিএম – অলোকেশ দাস
কংগ্রেস – সৌরভ প্রসাদ
মোট বিধানসভা ৭টি – কল্যাণী, হরিণঘাটা, বাগদা, বনগাঁ উত্তর, বনগাঁ দক্ষিণ, গাইঘাটা ও স্বরূপনগর৷
বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে কে জিতবে তার নির্ণায়ক মূলত মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটাররাই৷ বিগত ২০০৯ সাল থেকে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রটি তৃণমূলের দখলে রয়েছে৷ ২০১৪ সালের নির্বাচনে বনগাঁ কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬০১ ভোটে জয়ী হন। সেবার তিনি পান ৫ লক্ষ ৫১ হাজার ২১৩টি ভোট৷ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের দেবেশ দাসের প্রাপ্ত ভোট ৪ লক্ষ ০৪ হাজার ৬১২টি৷
এরপর কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের অকাল মৃত্যুতে ২০১৫ সালে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়৷ সেই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের মমতাবালা ঠাকুর ২ লক্ষ ১১ হাজার ৭৮৫ ভোটে জয়ী হন৷ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের দেবেশ দাসের প্রাপ্ত ভোট ৩ লক্ষ ২৮ হাজার ২১৪। বিজেপির সুব্রত ঠাকুর পান ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ২১৪ ভোট৷ তবে এবার বিজেপির ভোট বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। শেষমেষ বনগাঁ রায় কোন দিকে যায় তা জানা যাবে ২৩ মে।