ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই সুড় চড়ছে ডান-বাম সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। তবে ভোটের আগে চাঙ্গা বিজেপি শিবির। পরিবর্তনের পরিবর্তনের ডাক দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। এই অবস্থায় ডুমুরজলার সভা থেকে কড়া হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর। তৃণমূল ফাঁকা করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর গলায়। এদিন বক্তব্যের শুরু থেকে আক্রমণাত্বক মেজাজে ছিলেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন এই বিধায়ক।
তিনি বলেন, ‘২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলকাতা আর দক্ষিণ ২৪ পরগনা আমরা ফাঁকা করব। তৃণমূল কংগ্রেস কোম্পানি করার মতো লোক থাকবে না।’ গত কয়েকদিন আগেই অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এরপর থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোলাবাজ ভাইপো বলে আক্রমণ করেছেন। একাধিক সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেছেন। সম্প্রতি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ,বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষালরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। শুধু তাই নয়, জেলাজুড়ে তৃণমূলে ভাঙন ধরছে। এই অবস্থায় আত্মবিশ্বাসী বিজেপি শিবির। আর সেই আত্মবিশ্বাস থেকে এবার তৃণমূল ফাঁকা করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি।
বিজেপি অন্দরের খবর, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তৃণমূলে বড়সড় ভাঙল ধরাবে গেরুয়া বাহিনী। এমনকি খোদ কালীঘাট অর্থাৎ অভিষেকের বাড়িতেও পদ্ম ফোটানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন শুভেন্দু।
অন্যদিকে, মমতাকে আক্রমণ করে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘নেতাজি বলেছিলেন, দিল্লি চলো আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন দেশে চারটি রাজধানী করতে হবে। বাংলাদেশের স্লোগান ‘জয় বাংলা’ বলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। ডাঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যদি না থাকতেন আমরা কেউ পশ্চিমবঙ্গের বা ভারতবর্ষের অধিবাসী হতে পারতাম না।’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এদিনও তোলাবাজির অভিযোগ তোলেন শুভেন্দবাবু। স্লোগান তোলেন ‘তোলাবাজ ভাইপো হঠাও’। বাংলায় এবার ভোটে পরিবর্তন নিশ্চিৎ বলে ঘোষণা করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। শুভেন্দুর পাশাপাশি অভিষেককে আক্রমণ করেন অমিত শাহও।
তিনি বলেন, মমতা চাইছেন ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করতে। যদিও শাহের কোথার কোনও ভিত্তি নেই বলেই মন্তব্য করেছেন সৌগত রায়।
অন্যদিকে, দলত্যাগী নেতাদের আক্রমণ করে পার্থ বলেন, ‘অর্থ দিয়ে তৃণমূলকে কেনা যায় না। এতবড় হলেন যে দল থেকে, এখন অন্য দলে গেলেন। অন্য দলে গিয়ে পাতাও গজাতে পারবে না। দলত্যাগীরা শুধু শিরোনামে থাকতে চায়। মানুষের জন্য কাজ করতে চায় না। আমাদের কোনও ভুল হলে শোধরাচ্ছি। বুথকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রাখতে হবে। বেহালায় পরিযায়ী পাখিরা আসার চেষ্টা করছেন। পরিযায়ী পাখিদের ঢুকতে দেবেন না। অনেকে আসবে-যাবে, কিন্তু নদী তার নিজস্ব পথেই চলবে। ঝরাপাতা ঝরে যাবে, কিন্তু গাছ থাকবে। বুথ ছাড়বেন না, বুথ আগলাতে হবে। কেউ অপপ্রচার করতে আসছে, যোগ্য জবাব দিন।’