শুভেন্দু অধিকারীকে ‘জননেতা’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। মেদিনীপুরে তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। কিন্তু প্রথম সারির মন্ত্রিত্বে কখনও দেখা যায়নি শুভেন্দুকে। আর তা নিয়ে তাঁর ক্ষোভের কথাও শোনা গিয়েছিল বহুদিন ধরেই। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সেই ক্ষোভই জনসমক্ষে উগরে দিলেন তিনি।
তাঁর দাবি, দক্ষিণ কলকাতার মন্ত্রীদের হাতেই প্রথম সারির সব দফতর। মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, নগরোন্নয়ন মন্ত্রী সবই এই এলাকার লোকের। গ্রামের নেতাদের হাতে এমন কোনও মন্ত্রিত্ব নেই বলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘আমরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি?’ এই লড়াই গ্রামের লড়াই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সবরকমভাবেই এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তিনি। কীভাবে একের পর এক ভোটে জিতে দলকে উপহার দিয়েছেন সেকথা উল্লেখ করে শুভেন্দু বলেন, এরপরও কীভাবে তাঁকে যুব তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। বদলে ভাইপোকে সেই পদে আনা হল বলে অভিযোগ তাঁর। অথচ শুভেন্দু এদিন হিসেব দিয়ে বলেন, ‘ডায়মন্ড হারবারের ১৬০০ বুথের মাত্র তিনটিতে জিতেছেন অভিষেক।
এদিন আবারও তিনি বলেন, মোদীর হাতে তুলে দিতে হবে রাজ্যটাকে। তবেই বেকাররা চাকরি পাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
অমিত শাহের হাত ধরেই গত্ন কয়েকদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে যোগ দিয়েই তোলাবাজ ভাইপো হাঁটাওয়ের ডাক শুভেন্দু।
হাবেভাবে সাফ বুঝিয়ে দেন যে, তাঁর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিদিনেও যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁর নিশানায় থাকবে সেটাও সেদিনই কার্যত বুঝিয়ে দেন।
সেই মতো এদিন রোড শোয়ের শুরু’র প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ভাইপোকেই আক্রমণ শানালেন। তোলাবাজ ভাইপো ফের একবার সুর চড়ালেন তিনি। তাঁর সঙ্গেই সুর মেলালেন কয়েকশ বিজেপি কর্মী।
উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূলের বাগযুদ্ধ তুঙ্গে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে দলবদলের পর আজ রবিবার দাঁতনে প্রথম সভা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। তার আগে গোটা শহরজুড়ে ছেয়ে যায় শুভেন্দুর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স-ব্যানারে। তবে রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে যায় সমস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া পোস্টার-ব্যানার! আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক!