বৃহস্পতিবার জাড়গ্রামের নেতাইয়ে ‘শহিদ দিবস’-এর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কোনওদিনই রাজনীতি করতে তিনি নেতাইয়ে আসেননি বলে এদিন মন্তব্য় করেন শুভেন্দু। শাসকদলকে আগে এলাকায় দেখা না গেলেও ভোটের মুখে তাদের ব্যানার-পোস্টারে এলাকা ছেয়ে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা।
এর আগে ‘নন্দীগ্রাম দিবস’-এ বিতর্ক এড়াতে গতরাতেই ভাঙাবেড়া ব্রিজের কাছে শহিদ বেদীতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। গতরাতে শহিদ বেদিতে মালা দিয়েও শুভেন্দু নাম না করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘গত তিন বছর ধরে এখানে কেউ আসেননি। পরেও আসবেন না। শুধুমাত্র এবছর ভোট বলেই সবাই আসতে চাইছেন।’’ যদিও শুভেন্দুর সেই মন্তব্যে আমল না দিয়ে বরং তাঁর কড়া সমালোচনায় সরব ছিলেন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। নন্দীগ্রামে ভূমি আন্দোলনের সময় শুভেন্দুকে এলাকায় দেখা যায়নি বলে দাবি সুফিয়ানের। এরই পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর দলবদল নিয়েও কড়া সমালোচনা করেছেন সুফিয়ান।
বৃহস্পতিবার সকালেই জাড়গ্রামের নেতাইয়ে পৌঁছে যান শুভেন্দু অধিকারী। ‘শহিদ’দের প্রতি শ্রদ্ধা জানানেরা পাশাপাশি কথা বলেন আয়োজকদের সঙ্গে। আগামিদিনেও শহিদ পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন শুভেন্দু। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নিয়ম করে তিনি একের পর এক সভায় বিষোদগার করছেন তাঁর পুরনো দলের বিরুদ্ধে।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শাসকদলের তাবড় নেতাদের আক্রমণ শানাচ্ছেন শুভেন্দু। বিজেপিও ভোটের আগে শুভেন্দুর মতো হেভিওয়েট নেতাকে দলে টেনে বেশ চনমনে।
শুভেন্দুর গেরুয়া যোগ বিজেপির পক্ষে বেশ খানিকটা লাভের হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলেরও একটা বড় অংশ। শুভেন্দুর বিজেপিতে যুক্ত হওয়া পূর্ব মেদিনীপুর তো বটেই পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি জেলায় আসন্ন বিধানসভা ভোটের অনেক হিসেব উল্টে দিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
কয়েক সপ্তাহ আগেই শুভেন্দু অধিকারী হাফ-ডজন তৃণমূল বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই শাসকদলের আরও কয়েকজন বিধায়কও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন।