প্রবল বৃষ্টিতে জলবন্দি দক্ষিণবঙ্গ। হাওড়া, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনার পরিস্থিতি ভয়াবহ। তাই নিয়ে ফের একবার রাক্য সরকারকে খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন শুভেন্দু বলেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালুর আগেই রাজ্যে দুয়ারে নর্দমা প্রকল্প চালু হয়েছে।” বিরোধী দলনেতার কথায়,’ইয়াসের পর বলা হচ্ছিল দুয়ারে গঙ্গা। এখন সবাই বলছে, দুয়ারে নর্দমার জল। হয়তো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু হওয়ার আগে এই প্রকল্প চালু হয়েছে।”
মাস দেড়েক আগে একবার কলকাতার জলযন্ত্রণা নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বাকযুদ্ধ লেগেছিল শুভেন্দুর। অল্প বৃষ্টি হলেই কলকাতার ভেসে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু বলেছিলেন, পুরপ্রশাসক ব্যর্থ। পাল্টা ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, শুভেন্দু সেচমন্ত্রী থাকার সময়ে তাঁকে একাধিকবার বলা হয়েছিল খালগুলির সংস্কার করতে। কিন্তু তিনি অফিসারদের পাঠিয়ে থেমে গিয়েছিলেন। তাঁর সময়ের অপদার্থতার কারণেই ভুগতে হচ্ছে কলকাতার মানুষকে।
শুধু শুভেন্দু নন। বিজেপি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষও জল দুর্দশার ছবি পোস্ট করে ফেসবুকে কটাক্ষ করেছেন। মেদিনীপুরের সাংসদ লিখেছেন, “’সিবিআই আটক করলে বলেন কলকাতাকে বাঁচাতে পারলাম না। অথচ বৃষ্টির জমা জলে বিপর্যস্ত কলকাতা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হচ্ছেন মানুষ। পুরসভার কোনও হুঁশ নেই।” শুভেন্দু, দিলীপদের সমালোচনা নিয়ে পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তাঁর ফোন বেজে যায়।
গতকালই আলিপুর আদালতের দুই আইনজীবী বৃষ্টির জমা জলে তড়িদাহত হয়েছিলেন। সেই কথাই উল্লেখ করেছেন দিলীপবাবু।
প্রবল বৃষ্টিতে হাওড়া ও কলকাতার অবস্থা সাংঘাতিক। একদিকে যেমন কারশেডে জল জমে যাওয়ার কারণে হাওড়ার পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় ট্রেন চলাচল প্রায় বন্ধ তেমনই নিচু এলাকাগুলির অবস্থা শোচনীয়।
উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব কলকাতা, হাওড়া কর্পোরেশনের বিস্তীর্ণ অংশ কার্যত জলের তলায়। বিভিন্ন এলাকায় তীব্র হচ্ছে পানীয় জলের সঙ্কট।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও এ নিয়ে নানান মন্তব্য ভাসছে। কোথাও দেখা যাচ্ছে গাড়ি ডুবে গিয়েছে। পিছনের দেওয়ালে লেখা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পাতিপুকুর আন্ডারপাসে ৪৭-বি বাসের ডুবন্ত ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল। কেউ বলছেন দুয়ারে জাহাজ আবার কেউ বলছেন লন্ডন থেকে কলকাতা এখন ভেনিস হয়ে গিয়েছে।