“ম্যাডাম নারুলা কে? লালার টাকা কার তাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে? প্রতিমাসে ৩৬ লক্ষ টাকা করে ঢুকেছে, তার রসিদও আছে।” সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে এভাবেই আঙুল তুললেন তাঁর দিকে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ডিগ্রি জালিয়াতির অভিযোগও আনলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার কুলতলির সভায় অভিষেক সরাসরি শুভেন্দুকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, ১০ বছর মধু খেয়ে এখন মিরজাফর হয়েছেন সাধু। জবাবে এদিন তমলুকে এক সভায় শুভেন্দু বলেন, “আমাকে মধুখোর, ঘুষখোর বলেছে। এই ধরনের ফেরেব্বাজ, চিটিংবাজ ছোট বয়স থেকেই হাত পাকিয়েছে। আপনারা এখন কেউ ওকে এমবিএ লিখতে দেখবেন না।”
শুভেন্দুর প্রশ্ন, আমার কোনও পরিবর্তন দেখেছেন। আপনি ৪ বার বিদেশে যান। আপনার তো সিঙ্গাপুরে না গেলে চিকিৎসা হয় না। মধু আপনি খাচ্ছেন। আমার বাড়ি যা ছিল তাই আছে। হাতে ঘড়ি, আংটি নেই। তোলাবাজ ভাইপো হরিশ মুখার্জি ও হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ৩৫টি বাড়ির মালিক। আমি ঘুষখোরই যখন ২ ডিসেম্বর হাতেপায়ে ধরেছিলি কেন?” ১৬ ফেব্রুয়ারির আগে কালীঘাটের বাড়িতেও পদ্ম ফোটাব। তোলাবাজ ভাইপো বিনয় মিশ্র সম্পর্কে বললেন না কেন? বিনয়ের সঙ্গে ৩টি কনস্টেবল দেওয়া আছে।
সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের হাতে লেখা চিঠি উল্লেখ করে অভিষেক শুভেন্দু ৬ কোটি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন। পাল্টা শুভেন্দু বলেন, বিমান বসুর নাম লিখেছে, যে নিজের জামাকাপড় নিজের হাতে কাচে। অধীর চৌধুরী, সুজন চক্রবর্তীর নাম লিখেছে। নারদে কাগজে মুড়ে শুভেন্দুকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে বলে অভিষেকের অভিযোগের জবাবে শুভেন্দু বলেন, সৌগত রায়, ববি হাকিম ও কাকলি ঘোষ দস্তিদারের কী হবে? ম্যাথুকে টাকা দিয়েছে কেডি সিং। কেডি সিংকে লাগিয়েছে তোলাবাজ ভাইপো।
এদিন দুপুরে তমলুকের হাসপাতাল মোড় থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। বড়বাজার, বর্গভীমা মন্দির, জেলখানা মোড় হয়ে মানিকতলায় জেলা পুলিশ সুপারের অফিস পর্যন্ত যায় মিছিল। এরপর সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা ও দোষীদের না গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরা।
2021-01-26