শুভেন্দু অধিকারীই (Suvendu Adhikari) থাকছেন কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে। হাইকোর্টের রায়ের পর আদালতে আবারও ঝটকা খেল রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীকারি কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর জন্য একটি বৈঠক ডাকা হয়েছি। সেই বৈঠক বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের এই সিদ্ধান্তে সমবায় ব্যাঙ্ক মামলায় বড় স্বস্তি পেলেন বিরোধী দলনেতা।
মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীকে কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর জন্য সমবায় ব্যাঙ্কের ডিরেক্টররা একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। একটি নোটিশও জারি করা হয়েছিল এই বৈঠক নিয়ে। সেখানে বলা হয়েছিল যে, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। কিন্তু সমবায় ব্যাঙ্কের এক ডিরেক্টর এই বৈঠক নিয়ে বেঁকে বসেন। আর ওনারই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।
সোমবার বিচারপতি শম্পা সরকার এই মামলার শুনানির সময় বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থার জন্য ডাকা বৈঠকে পদ্ধতিগত ভুল রয়েছে। এভাবে এই ধরনের বৈঠক ডাকা যায় না। এর জন্য নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করতে হয় এবং সেই কারণের জন্য যথাযথ প্রমাণও দিতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেসব কিছুই হয়নি। সেই কারণে এই বৈঠক বাতিল করা হল। আদালতের এই সিদ্দান্তের পর শুভেন্দু অধিকারীই কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে আসিন থাকবেন।
অন্যদিকে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখা বেরা মামলাতেও আজ ঝটকা খেয়েছে রাজ্য সরকার। রাখালের মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। পাশাপাশি তাঁকে অবিলম্বে মুক্ত করারও নির্দেশ জারি করা হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল রাখাল বেরার বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে মানিকতলার বাড়ি থেকে রাখালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও, শুভেন্দু অধিকারী রাখাল বেরাকে নিজের ঘনিষ্ঠ মানতে নারাজ।