ফের বোমা ফাটালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার অর্থ দেশের বিরুদ্ধে কথা বলা। গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলা। প্রধানমন্ত্রী মোদী যখন করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করেছেন, তখন প্রত্যেকের উচিত তাতে সামিল হওয়া। কারণ মোদী জনগণের নেতা।
পাকিস্তান ও বাংলাদেশের কাছে নিজস্ব ভ্যাকসিন নেই, তাই ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন দেশের গর্ব। এক নির্বাচনী জনসভায় দাঁড়িয়ে এই ভাষাতেই প্রচার শুরু করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে কথা বলার অর্থ ভারত মাতার বিরুদ্ধে কথা বলা। সেই কাজ না করাই উচিত বলে মন্তব্য শুভেন্দুর।
এর আগে, শুভেন্দু বলেছিলেন ‘‘মাননীয়া নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়ে আমরা রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চাইছেন।’’ রাজনৈতিক মহল শুভেন্দুর এদিনের এই বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই কাটাছেঁড়া শুরু করে দেয়। গোটা দেশের নজর এখন নন্দীগ্রামে। বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকেই এবার লড়ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভবানীপুর কেন্দ্র ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের এই কেন্দ্রের প্রার্থী। মমতার বিপরীতে নন্দীগ্রামে বিজেপির বাজি ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু নিজেই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। দলও তাঁর ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়েছে। নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপির টিকিট পেয়েছেন শিশির-পুত্র শুভেন্দু।
মমতাকে একাধিকবার আক্রমণ করার পাল্টা শুভেন্দুকেও তৃণমূলের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে। এগরার সভা থেকে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপ দাগেন । তৃণমূলনেত্রী বললেন, “নন্দীগ্রামে এবার আমি প্রার্থী,এক ইঞ্চি জমি ছাড়বো না।” পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “আমিই সব কেন্দ্রের প্রার্থী। জোড়া ফুলে ভোট দিলে আমিই আবার ক্ষমতায় আসবো। আপনাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রেশন সব বিনা পয়সায় পাবেন। তাই প্রার্থী দেখবেন না। জোড়া ফুলে ভোট দিন। তাহলেই আমি আবার ক্ষমতায় আসবো। আপনারা সব পাবেন।”